×

চিত্র বিচিত্র

বিচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টায় পালিয়ে বিয়ে চুয়াডাঙ্গার সেই বর-কনের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১৪ পিএম

বিচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টায় পালিয়ে বিয়ে চুয়াডাঙ্গার সেই বর-কনের

প্রতীকি ছবি

চুয়াডাঙ্গায় একটি বিয়েবাড়িতে ভাত না খেয়ে মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষের তিন জনকে পেটানো হয়েছে। গত রবিবার এমন ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে বিয়েবাড়ি থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যায় বরপক্ষ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় আবার সেই বর-কনে পালিয়ে নিজেরা বিয়ে করেছেন।

জানা গেছে, দুই বছর আগে সুমি খাতুনের সঙ্গে সৌদিপ্রবাসী সবুজ আলীর বিয়ে হয়। সে সময় সৌদি আরবে টেলিফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে বিয়ে হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমী গ্রামে রবিবার কনে সুমি খাতুনকে তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠান চলছিল। সেই বিয়েতে ভাত না খেয়ে বেশি মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষের সঙ্গে কনেপক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সংঘর্ষ বাধে। এরপর সালিশ-বৈঠকের মধ্য দিয়ে বর-কনের বিচ্ছেদ হয়।

এ প্রসঙ্গে কনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, বরপক্ষের লোকজন খাবারে অনেক মাংস নষ্ট করেছে। এরপরও ভাত না খেয়ে আরও মাংস চাইলে এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়ে যায়। এ ছাড়া তারা গায়ে হলুদের উপহারও ফেরত নিয়ে এসেছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। সেদিন রাতেই দুই পক্ষের সালিশে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, তিনজনকে নিয়ে গ্যাঞ্জাম। সবাই খেয়ে উঠে গেছে, বরের সাথে তিনজন ছিল, ওই তিনজনকে নিয়ে গ্যাঞ্জাম। তারা বলতেছিল, আরও মাংস দাও। গ্যাঞ্জাম করে মারামারি করল।

তবে বর সবুজ আলীর দাবি, মাংস নিয়ে নয়, হাত ধোয়া নিয়ে কথাবার্তার জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তারপর কী থেকে কী হয়ে গেল, বুঝলাম না। যাদের কারণে ঝামেলা হয়েছে, তারা বরপক্ষের ঘনিষ্ঠ স্বজন নন।

বর সবুজ আলী বলেন, সেখানে যা ঘটেছে, তাতে আমাদের দুজনের তো কোনো অন্যায় নেই। বিয়েবাড়িতে এক-দুই কথা হয়। কিন্তু সেটা যে এতদূর চলে যাবে, তা ভাবিনি। আমরা বিয়ে করেছি, ভালো আছি।

তিনি আরও জানান, সেই ঝামেলার পর যখন দুই পরিবারের মুরুব্বি, গ্রামের মাতবর মিলে বৈঠকে বসেন, সেই সময়েও তিনি চেয়েছেন যে, তার স্ত্রীকে তিনি বাড়িতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু তার শ্বশুর রাজি হননি। তবে সেদিন রাতে তিনি ঘুমাতে পারেননি।

তিনি বলেন, ঝগড়ার সময় আমার কথা কেউ শোনেনি। আমি তখনই বলছিলাম, আমার বউকে আমি নিয়ে যাব।

কনে সুমি খাতুন জানান, সেদিন তার খুব খারাপ লাগছিল। সারারাত কান্নাকাটি করছিলেন। স্বজনরা তাকে বোঝাচ্ছিলেন যে, যা হওয়ার হয়েছে। তখন তার অভিমানও হয়েছিল, কিন্তু তিনি বার বার বলেছেন, আমি ওর (সবুজ আলী) কাছে যাব। পরে সন্ধ্যায় এক কাপড়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে আসেন বলে জানান।

এ বিষয়ে কনে সুমির বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, সে চলে গেছে তার ভাগ্য নিয়ে, এখন আমি আর কি বলবো। সে বড়দের কথা শুনল না। একদিক থেকে অবশ্য ভালোই হয়েছে। যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল, তার সঙ্গেই আবার বিয়ে হইছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App