×

ভিডিও

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টাকার বস্তা না পেলে চাকরি হতো না কারো

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩১ পিএম

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ‘বস্তায় বস্তায় ঘুষ বাণিজ্যের’ অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তায় বস্তায় টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এ জন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। টাকা আদায় বা উত্তোলনে মূল ভূমিকা পালন করতেন ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।’ একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ, দুর্নীতি তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও জানান দুদকের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকি এড়াতে টাকাগুলো দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে।’

অভিযোগের বরাত দিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক বলেন, ‘জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত নিতো এই চক্র। এই সিন্ডিকেটের আশির্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনও জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতেন না। জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ কোটি টাকা নিতো এই সিন্ডিকেট।’ এসব টাকা আসাদুজ্জামান খান কামালের ফার্মগেটের বাসায় বস্তায় ভরে পৌঁছে দেওয়া হতো বলেও জানান তিনি।

এনজিওর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা ‘এনওসি’ পেতে হলে প্রতিটি সংস্থার ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিতে হতো বলেও দাবি এই দুদক কর্মকর্তার। তিনি জানান ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সে কোনও সার্কুলার হলেই সাবেক এই মন্ত্রীর দফতর থেকে একটি তালিকা পাঠানো হতো। সেই মোতাবেক তাদের নিয়োগ দিতে ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য করতেন সাবেক এই মন্ত্রী। ২০২৩ সালে ২ অক্টোবর ৫৩৫ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। এরমধ্যে ছিলেন ৪৩৬ পুরুষ ফায়ার ফাইটার, ১৫ জন নারী ফায়ার ফাইটার ও ৮৪ জন গাড়িচালক। নিয়োগ কার্যক্রমের শুরুতেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে ২৫০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে। সেসময় সাবেক এই মন্ত্রীর নির্দেশে সেই তালিকা মোতাবেক নিয়োগ দিতে বাধ্য হয় ফায়ার সার্ভিস।’

সূত্রমতে, নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা নিতো কামাল-হারুন সিন্ডিকেট। আলোচ্য অভিযোগের আরও অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে কমিশন একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

১৯ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

১৯ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

দফায় দফায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে

দফায় দফায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

‘মব জাস্টিস’ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালেন সমন্বয়ক নাহিদ, সারজিস ও হাসনাত

‘মব জাস্টিস’ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালেন সমন্বয়ক নাহিদ, সারজিস ও হাসনাত

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত
নির্বাহী সম্পাদক: এ কে সরকার

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App