ব্রেকিং |
নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
নতুন অন্তর্বর্তী সরকারছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেল দেশের মানুষ। তবে, এই মুহূর্তে দেশ পূন:গঠনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হলেও সামনের দিনগুলো সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই মুহূর্তে নতুন যে সরকার গঠিত হবে তাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলেও মনে করছেন রাষ্ট্র চিন্তকরা।
পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হতে চলেছে তাতে নেতৃত্ব দেবেন ৮৪ বছর বয়সি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।যেহেতু শেখ হাসিনার পদত্যাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। দেশের আগামীর পথরেখা তৈরিতেও সেনাবাহিনীকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার বেসামরিক নেতৃত্বাধীন হতে চলেছে, তবে সেনাবাহিনীর হাতে কতটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে তা স্পষ্ট নয়। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, 'এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের প্রধান ভূমিকা থাকবে, এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে তারা নেতৃত্ব না দিলেও।
কুগেলম্যান আরও বলেন, 'বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হলে সেটি সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণকে পাকাপোক্ত করতে পারে বলে বাংলাদেশে অনেকে আশঙ্কা করেন। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী রাজনীতির ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে না যেমনটা কয়েক দশক আগেও ঘটেছে।
এদিকে, বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কয়েক সপ্তাহের সংঘর্ষে ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যেকারণে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর তার সহযোগীরা জনরোষের মুখে পড়ছেন। তবে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের স্মৃতি সিং বলেছেন, মানুষের জীবনধারণের অধিকার, বাকস্বাধীনতার এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সহিংসতা বন্ধ করা যেকোনো অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রথম কাজ হওয়া উচিত।
২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বেশি ছিল। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ ২০২১ সালে ভারতকে ছাড়িয়ে যায়।কিন্তু অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুফল বাংলাদেশে সবাই পায়নি। সাম্প্রতিক অস্থিরতা গার্মেন্টস শিল্পকেও নাড়া দিয়েছে। সহিংসতার মুখে গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে অর্থনীতি পুনর্গঠনে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
শেখ হাসিনার আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেই নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্য কোনো বিরোধীদল ছিল না। 'অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনর্গঠনের দীর্ঘ কাজ শুরু করতে হবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেই পথ থেকে সরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। 'অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে, কখন নির্বাচন হতে পারে এবং কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে পুলিশ প্রধান এবং একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন অনেক বিক্ষোভকারী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করবেন এবং শেখ হাসিনার মিত্রদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এমনকি 'সাম্প্রতিক সময়ে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করাও নতুন 'অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা । কে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে