অসহযোগ আন্দোলনের ১ম দিনে যেভাবে সিরাজগঞ্জে থানায় হামলা করা হয়
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রোববার ঢাকা ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, জমায়েত কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আওয়ামী লীগের।
এদিকে, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা হামলায় অন্তত ১১ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইডি বিজয় বসাক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলায় ১১ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।কারা এই হামলা চালিয়েছে, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ওই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করছি, কিন্তু এখনো পারছি না।'' স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক হাজার মানুষ দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা করে। এসময় ১৩জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ নিয়ে রোববার সারা দেশে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শনিবার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি পালন করছে। চলমান আন্দোলনের সময় হঠাৎ বেশ কয়েক হাজার মানুষ দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা করে।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক বিজয় বসাক বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা থানায় গিয়ে ১১টি লাশ পেয়েছেন। এর মধ্যে আটটি লাশ মসজিদের পাশে স্তূপ করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনটি লাশ পাওয়া গেছে পুকুরে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কারফিউ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এছাড়া আগামী সোম, মঙ্গল ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।