×

ভিডিও

ঢাকা থেকে ছিনতাইয়ের ফোন যেভাবে ভারত থেকে ফেরত এলো!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম

ঢাকা থেকে ছিনতাইয়ের ফোছিনতাই কিংবা চুরি হওয়া অসংখ্য মোবাইল ফোন প্রতিনিয়ত এদেশ থেকে পাচার হচ্ছে ভারতে। দিনকে দিন বেড়েই চলেছে চুরি-ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন পাচারের রমরমা বাণিজ্য। ফলে সাধারণ জনগণ থেকে আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তা- ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউই। ঠিক এমনই একজন ভুক্তভোগী দিনাজপুর জেলা কারাগারে ডেপুটি জেলার ফেরদৌস মিয়া।

গত বছরের ৭ নভেম্বর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী তার উপহারের শখের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন। কিন্তু নিজেও বসে থাকেননি, একটি অ্যাপসের মাধ্যমে ছিনতাই হওয়া ফোনটির অবস্থান শনাক্ত করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন- তার ফোনটি দেশের সীমানা পেরিয়ে চলে গেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের আমরেলি শহরে। 

এরপর তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি নিজেই ইন্টারনেট ঘেঁটে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার, দিল্লির হাইকমিশন ও ঢাকার হাইকমিশনের ইমেইল ঠিকানা জোগাড় করে নিজের পরিচয়সহ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ফোনের লোকেশনের স্ক্রিনশট ও জিডির কপি পাঠিয়ে নিজের ফোনটি উদ্ধারের অনুরোধ জানান। কিন্তু এরপর যা ঘটলো- তার জন্য তিনি নিজেও প্রস্তুত ছিলেন না।

এরমাঝে পেরিয়ে গেল আড়াই মাস। হঠাৎ ১ মার্চ ভারতের গুজরাটের আমরেলি থানা থেকে তাকে জানানো হয়- তার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি পাওয়া গেছে। এরপর গুজরাট পুলিশ কুরিয়ারের মাধ্যমে সেই ফোন পাঠায় বাংলাদেশে। অবশেষে হারিয়ে যাওয়া শখের ফোনটি হাতে পেয়ে আনন্দে বাকরুদ্ধ হয়ে যান ডেপুটি জেলার ফেরদৌস।

ছিনতাই হওয়ার পর ফোনটি ফেরত পাওয়ার আশা তিনি ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হাল না ছেড়ে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে চেষ্টার পাশাপাশি ভারতীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতার ফলে হারিয়ে যাওয়া শখের ফোনটি ফিরে পেতে সফল হন। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গুজরাট পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি।   

এক দেশের মোবাইল ফোন পাচার হয়ে যদি অন্য দেশে চলে যায় তাহলে অপারেটর পাল্টে যাওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো আর দেশীয় ট্র্যাকিং সিস্টেমে ধরা পড়ে না। সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছু অ্যাপসের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া পণ্যের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। তবে যেকোন পণ্য দ্রব্য পাচার একটি আন্তঃদেশীয় অপরাধ। কেউ এমন দুর্দশার শিকার হলে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) শাখার সহযোগিতা নিয়ে হারিয়ে যাওয়া পণ্য-দ্রব্য উদ্ধারের সুযোগ রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App