×

ভিডিও

গাজা-ইসরায়েল যু-দ্ধবিরতি চুক্তি কি সাময়িক নাকি স্থায়ী?

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি করতে কায়রোতে ৪এপ্রিল থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। হামাস বলেছে যুদ্ধবিরতির জন্য সবশেষ যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে সেটি পর্যালোচনা করে তাদের প্রতিনিধি দলটি ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি’ নিয়ে সেখানে গেছে। “ফিলিস্তিনিদের দাবি পূরণের জন্য একটি চুক্তি করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ,” বলেও জানিয়েছে এই সংগঠনটি। হামাসের আলোচনাকারীরা যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরুর জন্য মিশরের রাজধানীতে ফিরে এসেছে।

এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে মিশর এবং কাতার। কোন চুক্তি সম্পাদন হলে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ হবে এবং বিনিময়ে জিম্মিরা মুক্তি পাবেন।

৪এপ্রিল রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা আলোচনার টেবিলে চুক্তিটি চূড়ান্ত হোক তাই চায়, যদিও অনেকগুলো বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এখনো মতপার্থক্য আছে। এর মধ্যে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কি সাময়িক নাকি স্থায়ী হবে- সে প্রশ্ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

হামাস চায় এমন চুক্তি বা সমঝোতা হোক যাতে যুদ্ধ শেষ হওয়ার সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকবে। অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের তৎপরতা থাকবে এ নিয়ে কোন চুক্তিতে সম্মত হতে রাজী নয় দেশটি। ধারনা করা হচ্ছে যে, এ আলোচনায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি আলোচনা হবে। একই সাথে ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীও মুক্তি পাবেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবশ্য বারংবারই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে নতুন সামরিক অভিযানের কথা বলে আসছেন, এমনকি চুক্তি হলেও। ইসরায়েলি মিডিয়া যে খবর দিচ্ছে তাতে নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনার শুরু হলেও দেশটির অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি।

গাজার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধের কারণে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ পালিয়ে রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছে। ৪এপ্রিল যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সদস্য বেনি গান্টয বলেছেন, “কোন আনুষ্ঠানিক জবাব এখনো পাওয়া যায়নি। যখন পাওয়া যাবে তখন যুদ্ধকালীন কেবিনেট বসে আলোচনা করবে। তখন পর্যন্ত সব রাজনৈতিক সূত্র ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের শান্ত থেকে কাজ করতে হবে ও রাজনৈতিক কারণে হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত না হয়ে অফিসিয়াল আপডেট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ’র পরিচালক সর্বশেষ এ আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য কায়রো গেছেন বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে। মি. ব্লিংকেন নিজেও এই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। এ সপ্তাহেই মি. নেতানিয়াহুর সাথে ইসরায়েল গিয়ে কথা বলেছেন তিনি।৩এপ্রিল অ্যারিজোনায় মি. ব্লিংকেন বলেছেন, “গাজার মানুষ ও যুদ্ধবিরতির মধ্যে একমাত্র বাধা ছিলো হামাস।”

গত কয়েকমাস ধরেই বড় কোন অর্জন ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। নভেম্বরের পর থেকে যুদ্ধবিরতি বা কোন জিম্মি মুক্তির ঘটনা ঘটেনি। এ সময়ে কয়েকবার নতুন চুক্তির সম্ভাবনা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষরের আগে সেটি ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি শেষ দফার আলোচনায় সতর্কতার প্রয়োজন। আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্র বলছে আলোচনায় জটিলতা রয়েই গেছে এবং একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App