×

ভিডিও

ওবায়দুল কাদেরের নামে পাওয়ার দেখাতেন মিল্টন সমাদ্দার

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নাম করে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’কে অপরাধের কারখানা বানিয়ে রেখেছে মিল্টন সম্মাদ্দার। এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রাম থেকে শহরে এসে সে সাইকোতে পরিণত করেছে। সে উন্মাদনার ভয়াবহ নমুনা এলাকাবাসীর কাছ থেকে শোনা যায়। মিল্টনের বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই তাকে তার হাতে গড়া লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে টর্চার সেলে নিয়ে করা হত অমানবিক নির্যাতন। শুধু তাই নয়, তার ক্ষমতার উৎস নাকি ছিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এক লোক বলেন,ক্ষমতার উৎস যদি বলি, তাহলে সে তো ওবায়দুল কাদেরের কথা বলে।কিন্তু তিনি এ ঘটনা জানেন কি না আমরা আদৌ জানি না। আর প্রশাসন থেকে পুলিশ আসলেও, তদন্ত করা হয় কিন্তু ফাইনাল কোন সুরাহা হত না।  

পথেঘাটে পড়ে থাকা অসুস্থ মানুষকে তুলে নিতেন নিজের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের আশ্রমে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টিমের সদস্যদের দিয়ে মানবিক ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। এরপর এ ধরনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানাতেন তিনি। 

মানবিক কারণে তার কাছে দেশ-বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতেন লোকজন। সেই দানের টাকার অংশ দিয়েই নিয়মিত মাদক সেবন করতেন মিল্টন সমাদ্দার। এ ছাড়া তার নানা প্রতারণা আর অপকর্মের তথ্য পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে মিলেছে এই তথ্য।

ডিবি সূত্র জানায়, মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে প্রতিষ্ঠানে রাখা অনেকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তা নিকটস্থ থানায় জানানো হয়নি। শুধু নিজের প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক মাহিদ খানের স্বাক্ষরে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে লাশ দাফন করা হতো। কিন্তু সেই চিকিৎসকেরও স্বাক্ষর জাল করতেন মিল্টন সমাদ্দার।

ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (উন্মাদ) পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহায়তা করতেন—তাদেরও শনাক্ত করে প্রয়োজনে তথ্য নেওয়া হবে জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App