×

ভিডিও

এবার বস্তিবাসীদের জন্য নতুন ফর্মুলা দিলেন হিট অফিসার

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম

তীব্র দাবদাহে যেন সারা দেশ পুড়ছে। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ উপরের দিকে উঠছে। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। বাতাসে ‘আগুনের ফুলকি’ উড়ছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিশেষ করে নাভিশ্বাস উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না অনেকেই। রৌদ্রের প্রখর তাপে চুয়াডাঙ্গাসহ কয়েকটি জেলায় সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল। এরমধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টির দেখা মিললেও নামছে না গরমের পারদ। 

চলমান এই তীব্র তাপদাহ থেকে রাজধানীর খেটে খাওয়া মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ৩ মে সকালে রাজধানীর উত্তরায় রিকশাচালকদের মধ্যে ছাতা, পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণের আয়োজন করেন। এসময়, মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের ১১টি বস্তি আছে, তাদের আরাম দেয়া দরকার। তারা যদি দিনে-রাতে বিশ্রাম না নিতে পারে, তা হলে কর্মক্ষমতা অনেক হারিয়ে ফেলবে এবং তাদের উপার্জনে বিঘ্ন ঘটবে।

আতিক বলেন, গরমে বস্তিবাসীকে স্বস্তি দিতে ৯টি কুলিং জোন করা হবে। আর আমাকে এই পরামর্শ দিয়েছেন চীফ হিট অফিসার। সমাজ উন্নয়ন বিভাগকে ৯টি জায়গায় বস্তিবাসীর জন্য কুলিং জোন করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জনান মেয়র। তিনি বলেন, কুলিং জোনে শেড থাকবে, ফ্যান থাকবে। এখানে যেন মিস্টের বন্দোবস্ত করতে পারি। সেই ডিজাইন রেডি করা হয়েছে বলেও জানান আতিক।

গরমে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে কর্পোরেশনের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মিস্ট ছড়াচ্ছি। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তিনটি করে রিকশা-ভ্যান দেয়া হয়েছে; বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছি আমরা। আমাদের ১০টি ব্রাউজার আছে। এই ব্রাউজার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা পানি ছিটাচ্ছি।

এ সময় বিত্তবানদের বাসার সামনে কল স্থাপনের আহ্বান জানান আতিক। তিনি বলেন, কল লাগিয়ে দিলে সবাই পানি খেতে পারবে। পাশাপাশি দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের ড্রিংকিং ওয়াটার সরবরাহ করার অনুরোধ জানান তিনি।

নগরীর পার্কগুলোতে আর্টিফিশিয়াল মিস্ট তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আতিক বলেন, ইতোমধ্যে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২১টি পার্কে মিস্টার দিয়ে একটি কর্নার করে দিচ্ছি, যাতে সবাই এসে বিশ্রাম নিতে পারে।

দাবদাহের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, পানির বোতল, খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি রিকশা চালকদের মাঝে রিকশাতে স্থাপন যোগ্য একটি ছাতা, পানি পানের বোতল, ১২ প্যাকেট করে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন। 


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App