×

ভিডিও

যে কারণে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মামুনুল হক, কী ঘটেছিল রিসোর্টে?

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম

৩ বছরের কারাভোগ শেষে মুক্ত হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

২ মে রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত থেকেই কারাগারের সামনে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। 

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পাননি। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুব্রত কুমার বালা বলেন, মামুনুল হক এই কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী ছিলেন। ২ মে বিকেলে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছায়। বেশ কটি মামলা থাকায় তা যাচাই–বাছাই করা হয়েছে। যাচাই–বাছাই শেষ করতে সময় লেগে যায় এবং গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন না পাওয়ায় তাঁকে গতকাল রাতে মুক্তি দেওয়া যায়নি। তাই ৩মে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সবশেষ মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান ২ মে। 

তিন বছরের অধিক সময় পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

মামুনুল হকের জামিনের খবর ছড়িয়ে পরার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এরপর থেকেই আবারও আলোচনায় মামুনুল হক।

মামুনুল হকের মুক্তির পর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে উচ্ছ্বসিত দেখা যায় তার ভক্ত ও নেতাকর্মীদের। এখন সবার মনে প্রশ্ন কেন তিনি এতদিন কারাগারে, কেন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি?

ঘটনা ২০২১ সালের ৩ এপ্রিলের। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

রয়্যাল রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ঘটনার দিন দুপুরের দিকে মামুনুল হক তাদের রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। এরপর সেখানে অনেক লোকজন জড়ো হয়। ঘটনাস্থলে ইউএনও, পুলিশসহ অনেকে আসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মামুনুল হক রিসোর্টের ওই রুমেই আটকা ছিলেন। এ খবর পেয়ে হেফাজতে ইসলামের লোকজনও লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে ভিড় জমায়। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং সেখানে ভাঙচুর চালায়।

ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এরপর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া ওই নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App