নিজেই সিল মেরে ভুয়া ছাড়পত্র বানিয়ে লাশ দাফন করতেন মিল্টন সামাদ্দার
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানবসেবার কারণে আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার এখন গোয়েন্দা পুলিশের অধীনে। ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর মানবপাচার আইন, মৃত্যুসনদ জালসহ ৩টি অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ২ মে দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় হারুন অর রশীদ বলেন, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে মানবপাচারের মামলা নিয়ে ডিবি মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার বলেন, মিল্টন সমাদ্দার তার আশ্রমে মৃত ব্যক্তিদের মৃত্যুসনদ জাল করে তৈরি করতেন। এক্ষেত্রে তিনি চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও সিল জাল করতেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
২ মে মিল্টনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ডিসি মানস কুমার।
গত ১ মে বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা ডিবি) পুলিশ।
সেসময় গোয়েন্দা প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার ইতোমধ্যে ৯০০ মরদেহ দাফন করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। এর মধ্যে ৮৩৫টি মরদেহের কোনো সঠিক কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ।
বেশিরভাগ লাশ মিল্টন রাতে দাফন করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, রাতে লাশ কেন দাফন করেন? মিল্টন উত্তরে জানান, রাতে লাশ দাফন না করলে মানুষ তাকে প্রশ্ন করেন।
গত কয়েকদিন ধরে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ উঠে মিল্টনের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।
এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি কমিশনার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।