×

ভিডিও

প্রখর রোদে নজর কেড়েছে ‘এসি হেলমেট’

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

প্রখর রোদে পুড়ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া। বাংলাদেশ ও ভারতে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি। পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিও ছড়িয়েছে। কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে সাধারণ জনগণ বিভিন্ন উপায় খুঁজছে। এরই মাঝে ট্রাফিক পুলিশের এসি হেলমেট নজর কেড়েছে সবার। তবে এসি সংযুক্ত হেলমেট নিয়ে জনমনে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

তীব্র দাবদাহে সারাক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে যারা ডিউটি করেন তাদের জন্য পরিস্থিতি বেশ অস্বস্তিকর। আবার অনেকেই রয়েছেন যাদের হেলমেট পরে ডিউটি করতে হয়—যেমন; ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়া যারা বাইক বা স্কুটি নিয়ে যাতায়াত করেন তাদের জন্যও এই গরম অস্বস্তিকর। 

তবে এবার নজর কেড়েছে এসি হেলমেট। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ভারতের গুজরাটের ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের এক ছাত্রের তৈরি এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হেলমেট নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। জানা গেছে, ভাদোদরা ট্রাফিক পুলিশের জন্য এই হেলমেট তৈরি করা হয়। ব্যাটারিচালিত এই হেলমেটগুলো রোদের প্রখর তাপেও স্বস্তি দেবে ট্রাফিক পুলিশদের।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, গত বছর আহমেদাবাদ ট্রাফিক পুলিশের কর্মীদেরও এই ধরনের হেলমেট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও লখনউতেও ট্রাফিক পুলিশদের এই হেলমেট দেওয়া শুরু হয়। এদিকে অনলাইনে এই হেলমেট পাওয়া গেলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে ততটাও প্রচলিত হয়নি। তবে রোদের তাপ থেকে রেহাই পেতে অনলাইনে এই ধরনের হেলমেট কিনতেই পারেন। 

ভারতে এখনো তীব্র তাপপ্রবাহ প্রবাহমান। পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডায় শনিবার সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।  

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর আহমেদাবাদ ট্র্যাফিক পুলিশের ছয় কনস্টেবলকে পরীক্ষামূলকভাবে এই বিশেষ হেলমেট দেয়া হয়েছে। যদি হেলমেটির ব্যবহার সফল হয় তবে আরও ৫০০ হেলমেট দেয়া হবে। একটি ব্যাটারি ব্যবহার করে কাজ করে হেলমেটটি। ব্যাটারিটি কোমরে বহন করা হয় এবং প্রায় প্রতি আট ঘণ্টা পর পর রিচার্জ করতে হয়। এটি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এবং মাথার সুরক্ষার কাজও করে।

দেখতে স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক পুলিশেল হেলমেটের মতোই। তবে ওজনে পার্থক্য রয়েছে, ট্রাফিক সদস্যরা যে হেলমেট পড়ে থাকেন তা সাধারণ হেলমেটের চেয়ে ৫০০ গ্রাম ভারী। হেলমেটটি বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। হেলমেটগুলোর সামনে একটি অতিরিক্ত ফ্যানের মতো যন্ত্র রয়েছে, যা বায়ু চারপাশ থেকে টেনে আনে এবং ফিল্টার ও ঠাণ্ডা করে তা আবার ছেড়ে দেয়। উল্লেখযোগ্যভাবে ১০-১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা হ্রাস করতে পারে। এরফলে প্রচণ্ড গরমে ট্রাফিক সদস্যরা একটু স্বস্তিতে তাদের কাজ করতে পারে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App