×

ভিডিও

ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ এএম

বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ দমনে চলছে গণগ্রেপ্তার। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। প্রথমে কলম্বিয়া ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে উঠে। সেখানে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।

এই প্রতিবাদ ঠেকানোর অংশ হিসেবে ‘নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থার’ কথা বলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করেছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক ডজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল হয় সশরীরে ক্লাস। সেখান থেকেও ১০০ জনের বেশি জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনদের সমর্থনে শত শত বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাসগুলো থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বাধ্য করার জন্য পুলিশ ডেকে এনেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে কিছু ক্যাম্পাসে আলোচনাও হচ্ছে। 

নিউইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সপ্তাহে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ কর্মসূচি। বিতর্কের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল শিবির। তবে এই কর্মসূচি শেষ করার জন্য ২৫এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা হিসেবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমাও বাতিল করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটিতে ২৮ জন বিক্ষোভকারীকে ক্যাম্পাসে ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা এই নির্দেশ না মানলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের হাতে আটক এক বিক্ষোভকারী নিজেকে ইমোরি ইউনিভার্সিটির দর্শন বিভাগের চেয়ার নোয়েল ম্যাকাফি বলে পরিচয় দেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে বর্ণনা করে ম্যাকাফি বলেন, ‘এটি একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ থেকে এক মিনিটের ব্যবধানে মারপিটে পরিণত হয়েছে।’

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ ডাকলে গ্রেপ্তার হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এরপরই ক্যাম্পাসটিতে শুরু হয় সর্বশেষ বিক্ষোভ। গণহত্যা থেকে দূরে থাকা এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে সমর্থনকারী অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থ বিনিয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিক্ষোভকারীরা।

কানেকটিকাটের ইয়েল ইউনিভার্সিটির আইনের ছাত্র এবং প্রতিবাদী নেতা চিসাতো মিমুরা বিবিসিকে বলেছেন, গণহত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো ইসরায়েলকে দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপরও বেশ বিরক্ত তাঁরা। তিনি বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন গাজার গণহত্যায় নিজেদের সম্পূর্ণ সক্ষমতা ঢেলে দিয়েছে। তারা যে ভূমিকা পালন করছে, সে সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই সচেতন।’

মার্কিন ক্যাম্পাসে বেশ কিছু বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ আনা হয়েছে। বেশ কিছু ইহুদি ছাত্র বলেছেন, তাঁরা কলম্বিয়া এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিরাপদ বোধ করছেন। তবে অন্য অনেক ইহুদি শিক্ষার্থী গণহত্যাবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App