×

ভিডিও

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের পাশে লা-শে-র স্তুপ!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ পিএম

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তিনটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব গণকবরে ৩৯২টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে খান ইউনিসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদফতর। 

২৫ এপ্রিল এসব তথ্য জানিয়ে অধিদফতরটির প্রধান আবু সুলাইমান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা গাজায় অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধে ইসরাইলের প্রতি চাপ দেন।

আবু সুলাইমান জানিয়েছেন, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের পাশে গণকবর তিনটির সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি এ হাসপাতাল মর্গের পেছনে, আরেকটি সামনে এবং অপরটি ডায়ালাইসিস ভবনের কাছে।

গণকবরে পাওয়া লাশগুলোর মধ্যে মাত্র ৬৫টি তাদের স্বজনরা শনাক্ত করতে পেরেছেন। অনেক লাশ বিকৃত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, গণকবরে লাশগুলো একসাথে স্তূপীকৃত অবস্থায় ছিল এবং লাশগুলোতে মাঠ পর্যায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং জীবন্ত কবরস্থ করার নমুনা রয়েছে।

গণকবরে পাওয়া লাশগুলোর অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত কবরস্থ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষার সদস্য মোহাম্মদ মুগির। তিনি বলেন, তাদের অনেকের হাত বাঁধা ছিল এবং কয়েকজনের সাথে মেডিক্যাল টিউব লাগানো ছিল। ‘আমরা এমন অন্তত ২০টি লাশের ফরেনসিক পরীক্ষা করব বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য’ বলেন তিনি।

মোহাম্মদ মুগির বলেন, নাসের হাসপাতালের গণকবরে পাওয়া লাশগুলোর মধ্যে শিশুদের লাশও ছিল। তিনি এর পক্ষে ফটোগ্রাফ ও ভিডিও তথ্য সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন। এসব তথ্যপ্রমাণ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই প্রমাণ করে যে ইসরাইলি বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।’

মূলত দুই সপ্তাহ আগে খান ইউনিস থেকে সরে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরপর সেখানে ফিরে যান সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তারা গিয়ে দেখতে পান খান ইউনিসকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। তাদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে হাসপাতালের পাশেই মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে তারা।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক এই হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন, কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বেসামরিক নাগরিক, বন্দীদের কারণ ছাড়া হত্যা করা একটি যুদ্ধাপরাধ বলেও মন্তব্য করেন তুর্ক।

অন্যদিকে আল নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পাওয়া গণকবর থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস জানায়, ইসরায়েলি অবরোধে ধ্বংস হওয়া গাজার হাসপাতালগুলোতে গণকবর আবিষ্কারের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে "উত্তর" চায় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে গাজায় গণহত্যার কথা অস্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর নাদাভ শোশানি বলেন, ‘নাসেরের কবরগুলো কয়েক মাস আগে গাজাবাসীরাই খনন করেছিল।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App