×

ভিডিও

দিনাজপুরে বাঁশের চালে রান্না হচ্ছে ভাত-পায়েস

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম

বাঁশ ও কঞ্চির ফোঁড়ে ফোঁড়ে ঝুলছে ধানের মতো দানাদার ফল। সেই ফল সংগ্রহ করে ভরা হচ্ছে বস্তায়। ময়লা পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে চলছে মাড়াই। তা থেকে উৎপাদিত হচ্ছে চাল। আর সেই চালেই রান্না হচ্ছে ভাত, পায়েস ও খিচুড়ি।

এমন দৃশ্য দিনাজপুরের ফুলবাড়ি লালদিঘী গ্রামের। বাঁশের ফল থেকে ধানসদৃশ দানাদার শস্য সংগ্রহ করে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছেন গ্রামের যোশেফ মুর্মু। গেল এক সপ্তাহে প্রায় সাত মণ দানাদার শস্য সংগ্রহ করেছেন। ইতিমধ্যে দুই মণ চাল পেয়েছেন। 

যোশেফ মুর্মু নিজে যেমন রান্না করে খেয়েছেন, তেমনি আশপাশের মানুষের কাছে বিক্রিও করেছেন প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। এ ঘটনার সাক্ষী হতে দূরদূরান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ ছুটে আসছেন লালদিঘী গ্রামে।

লালদিঘী গ্রামের আদিবাসীরা এই বাঁশকে বেইড়া বাঁশ নামেই চেনেন। তারা জানান স্বাধীনতার পরে একবার খেয়েছি। এবছর আবারও খেলাম। 

বাপ দাদার সময় থেকেই এ চাল খেয়ে আসছেন আদিবাসী গ্রামের গৃহবধূ মাইকো বাস্কে। বাঁশের ফুল হলে সেগুলো সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় চাল থেকে আটা করা হয়।

যোশেফ মুর্মুর মায়ের বিয়েও এ চাউল দিয়েই হয়েছে। তাদের দেখাদেখি আশে পাশের অনেকেই এর ব্যবহার করছে বলে জানান দিনমজুর যোশেফ। 

আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাঁশের ফুল থেকে দানা সংগ্রহ করে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। যা ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন বলে জানায়িছেন দিনাজপুর ফুলবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার

সাধারণত কয়েক প্রজাতির বাঁশে দীর্ঘ সময় পরে ফুল ও ফল আসে। ফলটি দেখতে ধানসদৃশ। তবে প্রজাতিভেদে ২৫ থেকে ৬০ বছর পরে ফুল আসতে পারে। ফুল আসা মানেই ওই বাঁশের জীবনচক্র শেষ হওয়া। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App