×

ভিডিও

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় হাজারো রোহিঙ্গা!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের ফলে প্রতিদিন গ্রাম ছাড়া হচ্ছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে প্রবেশ করতে নাফ নদীর তীরে ভিড় করেছে হাজারও রোহিঙ্গা। নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শক্ত অবস্থানের কথা বলছে প্রশাসন।

সংঘাতের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য নাফ নদীর ওপারে জড়ো হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। কেউ কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চোরাই পথে। সবশেষ ১৭ এপ্রিল মংডুর উত্তরের গ্রাম মাঙ্গালায় জান্তা বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা করে আরাকান আর্মি।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে যোগ দেয় আরও একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। যার ফলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ফল ভোগ করতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। একের পর এক গোলাবারুদ পড়ায় মাঙ্গালা ছেড়ে পেরাংপুর, বাজারপাড়া, শলাকা গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাখাইনের মাঙ্গালার রোহিঙ্গা এক যুবক বলেন, দুই গ্রুপ যখন হামলা করে তখন তাদের গোলাবারুদ আমাদের বাড়িতে এসে পড়ে। তাই আমরা ভয়ে পালিয়ে এসেছি।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন এফডিএমএন আরসির বোর্ড সদস্য সৈয়দ উল্লাহ বলেন, আমরা বার বার তাদেরকে বলেছি এদেশে না আসতে। প্রয়োজনে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পালিয়ে থাকুক, তবু যেনো এপারে না আসে। কারণ আমরা ৭ বছরেও মিয়ানমার ফেরত যেতে পারিনি। 

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, যদি রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ে তবে তাদেরকে ফেরত পাঠানো কঠিন হয়ে যাবে। সুতরাং আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা যেন বর্ডার অতিক্রম করতে না পারে। 

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, পুরাতন রোহিঙ্গা দালালরা এবং মিয়ানমার থেকে মানুষ আনার জন্য স্থানীয় কিছু দালাল সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। দালালদের চিহ্নিত করা উচিত এবং তদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত।

গত কয়েক মাস ধরেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা বলছেন, যেকোনো মূল্যে তাদের ভূখণ্ড থেকে জান্তা বাহিনীর পতন ঘটাতে চান তারা। ফিরিয়ে আনতে চান নিজেদের শাসনব্যবস্থা।

২০১৭ সালে রাখাইনে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সাত বছর পার হলেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App