×

ভিডিও

এখন কে আমাকে গোসলের পানি চেপে দিবে, কে এনে দিবে ওষুধ?

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম

প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিম। অনেকটা অভাবের সংসার হলেও ভালোবাসার কোনও কমতি ছিল না তার ঘরে। স্ত্রী ২ সন্তান ও মাকে নিয়েই তার ছোট্ট সংসার। 

মাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। কথা ছিল মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাবেন। হঠাৎ বরিশাল যাওয়ার একটি ভাড়া আসলে তড়িঘড়ি করে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পড়েন ইব্রাহিম। যাওয়ার আগে মায়ের গোসলের জন্য  প্রতিদিনের মতো টিউবওয়েল চেপে পানি দিয়ে যায় বালতি ভড়ে।


যাওয়ার সময় মাকে বলেছিল মা তুমি গোসল কর। আমি যাত্রীদের পৌঁছে দিয়ে এসে একসাথে ভাত খাবো। কিন্তু কে জানতো এ যাত্রায় হবে ইব্রাহিমের শেষ যাত্রা। 

১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় ট্রাকের চাপায় দুমড়ে মুচড়ে চায় ইব্রাহিমের প্রাইভেটকারটি। এতে একই পরিবারের ৬ জন ও চালক ইব্রাহিমসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় মোট ১৪ জন নিহত হয়। 


চালক ইব্রাহিমের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আদরের সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় পঁচাত্তর বছর বয়সী সেতারা বেগম।  


১৮ এপ্রিল সকলে উত্তর উত্তমপুর নিজ বাড়িতে ইব্রাহিমের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। 

ইব্রাহিম উত্তমপুর এলাকার মৃত সাকায়েত আলী ফকিরের ছেলে। স্ত্রী উর্মি, ৬ বছর বয়সী ইসমাইল, ৪ মাস বয়সী ছেলে রহমাতুল্লাহ ও মাকে নিয়েই ছিল তার সুখের সংসার। 


ইব্রাহিমের বাবা ২০০৩ সালে ৮ জুলাই মারা যায়। এরপর থেকে ইব্রাহিম বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে ও গাড়ি চালিয়ে একমাত্র মা সেতার বেগম কে নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। 


মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা, যারা পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য এক লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App