×

ভিডিও

হানিমুনে যাওয়া হল না নিপা-ইমরানের, পরিবারের ৪ জনের সঙ্গে প্রাণ গেল পথেই

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম

বিয়ে হয়েছে মাত্র একমাস। হাতের মেহেদিও এখন পর্যন্ত মুছেনি। নববিবাহিত দম্পতির ইচ্ছা ছিল বরিশাল থেকে কুয়াকাটা গিয়ে হানিমুন করবে। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হল না। হানিমুনের পরিবর্তে অন্তিম শয়নে শায়িত হলেন তারা। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে ঘাতক ট্রাকের চাপায় প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার ১৪ যাত্রী নিহত হন। এতে নবদম্পতিসহ তাদের পরিবারের ৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিনিধি নাঈম হাসানের পাঠানো তথ্য চিত্রে বিস্তারিত জানাচ্ছেন এইচ এম নাহিয়ান।


বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন ইমরান। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মাত্র একমাস আগে। হাতের মেহেদি এখনও শুকায়নি। বাড়ি এসেছিলেন ঈদের ছুটিতে ইচ্ছে ছিল হানিমুনে যাবেন কুয়াকাটায়। 

তাই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে স্ত্রী নিপা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাইভেটকারে করে বরিশাল যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না। 


১৭ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে ঝালকাঠি পৌর এলাকার পশ্চিম পাশে পঞ্চম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী গাবখান সেতুর টোলপ্লাজার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা সদ্য বিবাহিত ইমরান, তার স্ত্রী নিপাসহ পরিবারের আরও ৪ সদস্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

অন্যরা হলেন, হাসিবুর রহমান, তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার, সন্তান তাকিয়া ও তাহমিদ। তাদের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার।  


বুধবার সিমেন্টবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার ও তিনটি অটোরিকশা নিয়ে খাদে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন। 

সন্তানদের হারিয়ে পাগল প্রায় বৃদ্ধ বাবা। নাতি নাতনিদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।


একই পরিবারের ৬ জনকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ ঝালকাঠির রাজাপুর। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নিহতদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App