×

ভিডিও

জয়েন করে অফিস করেছেন ১ দিন, হাসপাতালে আসেন না ১০ বছর

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম

২ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা সামাল দিচ্ছেন মাত্র ৭ জন চিকিৎসক। এরমধ্যে ডা.মৃদুল কান্তি ১দিন অফিস করে হাসপাতালের ধারে কাছেও আসেন না ১০ বছর। আর একবছর ধরে অনুপস্থিত মেডিকেল অফিসার ডা. শান্তা। তারপরও অনেকটা খুড়িয়ে খুড়িয়েই চলছিল চিকিৎসাসেবা। কিন্তু হঠাৎ করে ৪ জন মেডিকেল অফিসারের অন্যত্র বদলি, তাই চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। আর এমনই চিত্র ধরা পড়েছে যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।


যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যেটি উপজেলা পর্যায়ে বার বার পুরস্কারপ্রাপ্ত হাসপাতাল। কিন্তু এই হাসপাতালের বর্তমান চিকিৎসা সেবা যেন এখন হুমকির মুখে।


অল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে অনেকটা খুড়িয়ে খুড়িয়েই চলছে এর চিকিৎসা। বর্তমানে উপজেলার প্রায় ২ লাখ বাসিন্দা এবং হাজারো বহিরাগতদের চিকিৎসা সেবায় হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৭ জন। প্রচণ্ড তাপদাহে সামান্য কজন চিকিৎসক শত শত রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠছেন। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের স্বজনরা। 


অভিযোগ উঠেছে কিছু চিকিৎসকের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের জন্যই এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতাও পাওয়া যায়।


চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, হাসপাতালে ১০টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদের বিপরীতে অফিসিয়ালি আছেন ৫ জন। তাদের মধ্যে ১ জন ছুটি ছাড়াই ৬ মাস অনুপস্থিত এবং ২ জন প্রেশনে অন্যত্র এবং একজন এনসথেসিষ্ট চিকিৎসক। আর আরএমও পদে কেউই নেই। 


১৯টি মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে অফিসিয়ালি আছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে ৩৩ বিসিএসের ডা. মৃদুল কান্তি ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট জয়েন করে অফিস করেছেন মাত্র ১দিন। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে হাসপাতালের ধারে কাছেও আসেননি তিনি। ১ বছর ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত মেডিকেল অফিসার ডা. শান্তা। তারা মূলত প্রবাসে আছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া অর্থপেডিকস্ ডা. গোলাম রসুল ছুটি ছাড়া ৬ মাস অন্যত্র রোগী দেখছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।


তারপরও অনেকটা খুড়িয়ে খুড়িয়েই চলছিল হাসপাতালটি। কিন্তু হঠাৎ করে ৪ জন মেডিকেল অফিসারের অন্যত্র বদলি হওয়াতে চিকিৎসক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। 


সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জরুরি বিভাগসহ শত শত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন ডা.লুৎফুন্নাহার লাকি, ডা.ইমরান এবং ডা. সুরাইয়া পারভিন। এবং বিকেল শিফটে ডা.খন্দকার জুলকার ইসলাম।


পুরস্কারপ্রাপ্ত এই হাসপাতালটির সেবার মান অক্ষুণ্ণ রাখতে দ্রুত শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের দাবি উপজেলার আপামর জনতার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App