ইরান ও ইসরায়েল সংঘাতের পরিণতি এখন কোন দিকে যেতে পারে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বেশ জল্পনাকল্পনা। দিন কয়েক আগেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চালানো এই হামলার পর বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। 

এ হামলার জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে। আর এই অবস্থায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে পারে ইসরায়েল, এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ প্রধান। বার্তাসংস্থা রয়টার্স ১৬ এপ্রিল এই তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ প্রধান বলেন, ইসরায়েল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। ফলে এই বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। যদিও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার ইরানের স্থাপনাগুলোতে পরিদর্শনের কাজ ১৬ এপ্রিল আবারও শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে।

মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

নজিরবিহীন সেই হামলার পর ইসরায়েলের সামরিক প্রধান বলেন, তার দেশ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার জবাব দেবে। আর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইসরায়েলের পাল্টা যে কোনও আক্রমণকে শক্তিশালী এবং বিস্তৃত জবাব দিয়ে মোকাবিলা করা হবে।

এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ইরান নিরাপত্তা বিবেচনায় ১৪ এপ্রিল তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আবার চালু হলেও যতক্ষণ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত না হচ্ছে ততক্ষণ তিনি আইএইএ পরিদর্শকদের সেখান থেকে দূরে রেখেছেন।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে গ্রোসি বলেন, আমরা সবসময় এই হামলার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে তিনি সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।