×

ভিডিও

৩১ দিন পর মুক্তি পেল জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯ এএম

অবশেষে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন তারা।

১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ জিম্মি জাহাজের উপর চক্কর দেয়। এরপর জাহাজের ২৩ নাবিক অক্ষত কিনা তা নিশ্চিত করা হয় । এরপর হেলিকপ্টার থেকে ডলার ফেলার পরই নাবিকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে কত ডলার মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। 

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়।

সোমালিয়া উপকূলে নেওয়ার নয় দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল বলে ঈদের আগেই আভাস দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কেবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর সিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩ টি জাহাজ আছে করীর গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালে ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিলো বাংলাদেশ জাহাজ জাহাজ মনি। ঐ সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টা করে জলদস্যুদের কবল থেকে ১০০ দিনের মাথায় তাদের মুক্ত করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App