×

ভিডিও

ছেলেই বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেছেন ব্যাংকার বাবাকে

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

কেউ ব্যাংকার, কেউ অধ্যক্ষ, কেউবা আবার সাবেক সরকারি আমলা। এক সময় যাদের নাম ডাক আর খ্যাতি ছিল দেশজুড়ে। আজ তাদের দিন কাটে বৃদ্ধাশ্রমের ইট পাথরের চার দেয়ালে নিষ্ঠুর বাস্তবতায়। সময়ের হিসাব নিকাশের সব সম্পর্ক হয়তো ছিন্ন হয়ে যায়।


একটা সময় স্বামী-সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা মানুষগুলো আজ বড্ড একা। স্মৃতির পাতায় বার বার তাই খুঁজে ফিরে হারিয়ে ফেলা কিছু মুহূর্তের অনুভূতি। জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় শুধু সন্তান এসে বাবা কিংবা মা বলে একবার যদি ডাক দেয়।


সমস্যাগুলো চেনা, সমাধানও যে খুব কঠিন, এমনটা নয়। তবু সমস্যাগুলো সরিয়ে ছবিটা বদলাতে পারা যাচ্ছে না। বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের অনেকেই আশির কোঠায়, কেউ বা তার একটু বেশি কিংবা একটু কম। বয়স্ক পিতা-মাতাদের বৃদ্ধাশ্রমে রাখার পরিচিত সঙ্কট ক্রমশ যেন পরিণত হচ্ছে দুরারোগ্য এক ব্যাধিতে।


অনেকটা আক্ষেপ লুকিয়ে বললেন সন্তানরা অনেক ব্যস্ত তাদের সময় কই বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখবার। তবে তাদের মঙ্গল কামনায় দোয়া করতে ভুলেন না। বাবা-মা বুঝি এমনি হয়। 


ঈদ নিয়ে অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে কি? এমন প্রশ্নে চোখ ছল ছল করে উঠেছে। আক্ষেপ করে লাভ কি উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দেন।


ঈদের দিন কিভাবে কাটে বৃদ্ধাশ্রমের জানাতে চাইলে বলেন- খাবার আর বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীণবন্ধুদের নিয়ে বেশ আছেন তারা। 


জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পরিবারবিহীন এক যন্ত্রণার জীবন কাটাতে কাটাতে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে করতে সময় পার করা বাবা-মায়ের আশ্রয়ের নাম বৃদ্ধাশ্রম। নচিকেতার গানের কথা মনে পড়ে যায়- ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার। নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী, সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App