×

ভিডিও

রমজান পরবর্তী মুসলমানদের খাবার গ্রহণে সচেতনতা!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ পিএম

রমজান হল ইসলামের একটি স্তম্ভ। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের কাছে পবিত্র এই মাস, যে মাসে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে সারাদিন উপবাস করে থাকেন। এই মাসে রোজাদার ব্যক্তিরা তাদের মন, শরীর এবং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকেন। 


পিজি হাসপাতালের  কার্ডিওলজী বিভাগের  সহযোগী অধ্যাপক  ডা: এস এম ইয়ার ই মাহাবুব বলেন,শুরুতে অনেক রোজাদারের জন্য নতুন খাদ্যাভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হলেও মাসের শেষদিকে বেশিরভাগ লোক রোজা থাকাকে সহজ বলে মনে করে। ঠিক তেমনি রোজা শেষেও একইভাবে আমাদের পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগে। 


তবে রমজানের শেষে ঈদ ও ঈদ পরবর্তী দিনগুলি অনেক সময়ে অনভিপ্রেত স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, কারণ অনেকেই এক মাস বিরত থাকার পরে এসময়ে অতিরিক্ত খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করার লোভ সামলাতে পারে না।  এটি তাদের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের জন্য নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে বলেও জানান ডা.মাহবুব। 


এসব কারণে ঈদের পরে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাই প্রেশার ও বদহজম জাতীয় রোগের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যেতে দেখা যায়।  তাই, রমজান-পরবর্তী সময়ে মুসলমানদের তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।


রমজানের মূল নীতিগুলির মধ্যে একটি হল আত্মসংযম ও শৃঙ্খলা, এবং এই নীতিটি রমজান-পরবর্তী সময়েও মনে রাখা উচিত বলে জানান ডা. মাহবুব। এই পবিত্র মাসের চেতনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরবর্তীতেও স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণের জন্য সবার চেষ্টা করা উচিত। যে কোন অবস্থায় অত্যধিক খাওয়াদাওয়া বা  অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ জানান তিনি। 


তিনি বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে রমজান মাসে শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্য উপোষ অবস্থায় থাকে এবং নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের সাথে খাপ খাওয়াতে পরিপাকতন্ত্রের জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে। তাই হঠাৎ করে বেশি পরিমাণে ভরপেট খাওয়া একদম উচিত নয়। 


উপরন্তু ঈদের পরে ৬ দিন ও পরে সপ্তাহে ২ দিন নফল রোজার বিধান এটাই ইঙ্গিত করে যে ঈদের মাধ্যমে রমজানের খাওয়া দাওয়ার সংযম একবারেই শেষ হয়ে যায় না, বরং এই অভ্যাস পরবর্তী মাসগুলোতেও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উপকারী হতে পারে। 


ধীরে ধীরে নিয়মিত খাবার পুনরায় চালু করার পাশাপাশি, খাদ্যের গুণমানের দিকেও মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ফলমূল, শাকসবজি, বিন বা গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিনের মতো পুষ্টিগুনসম্পন্ন খাদ্যগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে জানান ডা: এস এম ইয়ার ই মাহাবুব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App