×

ভিডিও

এক লাখ বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপের সন্ধান মিলেছে যেখানে

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম

আধুনিক মানুষ হিসাবে, আমাদের প্রজাতি হল হোমো সেপিয়েন্স - যার অর্থ ল্যাটিন ভাষায় 'জ্ঞানী মানুষ'। আমরাই হোমো প্রজাতির একমাত্র জীবিত প্রজাতি   - কিন্তু আমরা কোথা থেকে এসেছি তা নিয়ে চলে আসছে নানা বিতর্ক। সেই থেকেই আজ পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে গবেষণাও কম হয়নি।


সম্প্রতি মরক্কোর প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায় ১ লাখ বছর আগের মানুষের ৮০টিরও বেশি পায়ের ছাপ উদ্ধার করেছেন এবং এটি উত্তর আফ্রিকার প্রাচীনতম মানুষের পায়ের ছাপ বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভবত শিশুসহ পাঁচজন হোমো সেপিয়েন্স এই পায়ের ছাপ রেখে গেছেন।


মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল টাঙ্গিয়ার থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত শহর লারাচে উপকূলে এই পায়ের ছাপ আবিষ্কৃত হয়েছে।


বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার–এ গেল জানুয়ারিতে এ নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিল ফ্রান্সের বোঁতানিয়া সুঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। আর গবেষক দলে ছিলেন মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকায় এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাচীন মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কারের ঘটনা। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, ওই পদচিহ্নগুলো পাঁচজন হোমোসেপিয়েন্সের হয়ে থাকতে পারে। তাদের মধ্যে শিশুও ছিল।


মরক্কোর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান লিক্সাস লারাচের কিউরেটর আনাস সেদরাতি বলেন, সম্ভবত এই দলটি সমুদ্রসৈকতে খাদ্যের সন্ধান করছিল। সম্ভবত তারা জেলে অথবা সমুদ্র উপকূল থেকে শামুক-ঝিনুকের মতো বিভিন্ন জিনিসের সংগ্রাহক ছিল। 


নোবেল জয়ী সুইডেনের বিজ্ঞানী এসভান্তে পেবোর গবেষণায় ঠিক একই তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে হোমো সেপিয়েন্সের দল আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে অভিবাসিত হয় এবং সেখান থেকে তারা বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। হোমো সেপিয়েন্স এবং নিয়ান্ডারথালরা এভাবে হাজার হাজার বছর ধরে ইউরেশিয়ার বিশাল অংশে সহাবস্থান করেছিল।


এর আগে ২০১৭ সালে, উত্তর-পশ্চিম মরক্কোতে ৩ লক্ষ  বছর আগের কিছু হোমো সেপিয়েন্সের সন্ধান পাওয়া গেছে, এটি একটি সাফল্য যা মানব প্রজাতির আনুমানিক উৎপত্তিকে ১লক্ষ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। লারাচে পায়ের ছাপ এই অঞ্চলে মানব ইতিহাসের গুরুত্ব তুলে ধরেছে, এ কথা উল্লেখ করে আনাস সেদরাতি বলেন, এখানে অন্যান্য প্রাণীর চিহ্নও আবিষ্কৃত হয়েছে।


আনাস সেদরাতি এই অসাধারণ ঐতিহ্যবাহী স্থানটিকে সংরক্ষণ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। এমনকি এটি হুমকির মুখে পড়লেও যেকোন মূল্যে তা রক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App