×

ভিডিও

মাটির নিচের সাগরে নাকি সব সাগরের চেয়েও বেশি পানি!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম

নানা রকম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও অজানা তথ্য-উপাত্তের উদঘাটন প্রতি মুহূর্তে বিশ্ববাসীকে ঋণী করেছে। সম্প্রতি এমনই এক তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ নজর ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তথ্যটি হলো- ভূপৃষ্ঠের অতি গভীরে মানে মাটির অনেক নিচে বিশাল সমুদ্রের সন্ধান পেয়েছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার নিচে ‘রিংউডাইট’ নামক পাথরে এই বিপুল পরিমাণ পানি জমে রয়েছে। ভূপৃষ্ঠের সব কয়টি মহাসাগরকে একত্র করলে যতটুকু আয়তন হবে তার চেয়েও প্রায় তিনগুণ বড় মাটির গভীরের এই জলাধার!


২০১৪ সালের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে এই সমুদ্র সম্পর্কে বিশদভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘ডিহাইড্রেশন মেলটিং এট দ্য টপ অব দা লোয়ার মেন্টল’ নামের শিরোনামে সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে রিংউডাইটের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণার প্রধান সদস্য ভূ-পদার্থবিদ স্টিভ জ্যাকবসেন বলেন, ‘রিংউডাইট পাথর মূলত একটি স্পঞ্জের মতো, যা পানি শুষে রাখে। রিংউডাইট পাথরের স্ফটিক কাঠামোর মধ্যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হাইড্রোজেনকে আকর্ষণ করতে এবং পানিকে আটকে রাখতে সাহায্য করে। 


তিনি আরও বলেন, ‘অবশেষে আমরা পুরো পৃথিবীর পানিচক্রের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। এটি আমাদের বাসযোগ্য গ্রহের পৃষ্ঠে বিশাল পরিমাণ পানি থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে এই অদেখা গভীর পানির সন্ধান করছিলেন।’ ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করার সময় গবেষকরা দেখেন যে, ভূত্বকের কম্পন পরিমাপক যন্ত্র সিসমোমিটারগুলো মাটির গভীরের শকওয়েভ বা ঘাততরঙ্গ শনাক্ত করছে। আর এভাবেই বিজ্ঞানীরা এই সমুদ্রের সন্ধান পান। 


বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীর ম্যান্টল পৃথিবীর ভূত্বক এবং এর নিচে গলিত লোহার কেন্দ্রের মধ্যে গরম, কঠিন শিলায় পুরু স্তরের খনিজগুলোর উচ্চ পানি সঞ্চয় ক্ষমতা রয়েছে যা একটি গভীর জলাধারের থাকার সম্ভাবনার আভাস দেয়। আমরা ট্রানজিশন জোন থেকে নিম্নমুখী মেন্টলে খনিজের প্রবাহের প্রভাবগুলো পরীক্ষা করেছি৷ ট্রানজিশন জোনে গলিত দানাদার খনিজও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এসব ফলাফল ট্রানজিশন জোনের একটি বৃহৎ অঞ্চলের পানি থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ডিহাইড্রেশন মেলটিং ট্রানজিশন জোনে পানিকে আটকাতে কাজ করতে পারে।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App