×

ভিডিও

ইফতারে ঘাস খেয়েছেন, এবার শুধু বিস্কুট খেয়েই ঈদ কাটাবেন ফিলিস্তিনিরা!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম

সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের চাঁদ উঠেছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাতেও। কিন্তু ঈদের সেই আনন্দ তাদের মাঝে নেই। ক্ষুধায় নাজেহাল গাজাবাসী এবার ঈদের দিনেও থাকবেন বুলেট-বোমার আতঙ্কে। সঙ্গে থাকবে সব হারানোর বেদনা। এর মধ্যও পুরনো কাপড় সেলাই করছেন অনেকেই। মিষ্টির বিকল্প হিসেবে তৈরি করছেন আটার বিস্কিট। যা খাবে শিশুরা। 


ইসরাইলি বাহিনীর নির্মমতায় পুরো গাজাই যেন ধ্বংসস্তুপ। ৬ মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ, আর আহত হয়েছে ৭২ হাজারেরও বেশি। যারা এখনো বেঁচে আছেন তারা রোজায় সেহেরি ও ইফতারে খাওয়ার মতো ভালো কিছুই পাননি। এমন বাস্তবতার মাঝেই এসেছে মুসলমানদের খুশির ঈদ। 


হামলা বন্ধ বা যুদ্ধবিরতির লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। ইসরাইলি সেনাদের অত্যাচারে ঈদের দিনও আতঙ্কে কাটবে গাজাবাসীর। গাজার এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঈদ নেই এখানে। কেনার মতো কিছুই নেই। আর কিছু পেলেও সামর্থ্য নেই। ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের আগে, আমরা ঈদের জন্য মিষ্টি, জামাকাপড় কিনতাম। সব ধরনের প্রস্তুতি নিতাম। এখন তাঁবুতে থাকি, নিজের বাড়িঘর নেই। খুব খারাপ অবস্থায় আছি। 


ঈদের জন্য হাতেই বিস্কিট বানাচ্ছেন দেইল আল বালা শহরের বাস্তুচ্যুত নারীরা। ছিঁড়ে যাওয়া পুরনো কাপড় সেলাই করে নিচ্ছেন অনেকে। কারও কারও সেই সামর্থ্যও নেই। গাজার এক ফিলিস্তিনি নারী বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য মিষ্টান্ন হিসেবে বিস্কিট বানিয়েছি। কিন্তু ঈদের জন্য জামা-কাপড় নেই। আমার মেয়ে বড় হয়েছে, তার জন্যও কোন কাপড় নেই। সব ছিঁড়ে গেছে।’


মাথার ওপর ছাদ নেই, ক্ষুধা নিবারণের খাবার নেই-এমন বাস্তবতায় আজ গাজাবাসীদের ঈদ পালন করতে হচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে কাঙ্ক্ষিত সেই ঈদ। রোজার দিনগুলোও ছিল দুর্বিষহ। ত্রাণ সংস্থাগুলো উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলে আসছে। ইসরায়েলের অনবরত বোমাবর্ষণে গাজা আজ এক মৃত্যু উপত্যকা। এই ধ্বংসযজ্ঞে অনাহারে ভুগছে লাখো ফিলিস্তিনি। ক্ষুধার তাড়নায় ঘাস খেয়েও ইফতার করেছেন তারা।


জামা-জুতা কিংবা ভালো খাবার নয়, যুদ্ধ বন্ধের মধ্যেই ঈদের আনন্দ খুঁজছেন গাজাবাসী। এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঈদ... যুদ্ধে আবার কেমন ঈদ? এখানে কোন ঈদুল ফিতর নেই, নেই ঈদুল আযহা। আমাদের জন্য ঈদ মানে যুদ্ধ ও আগ্রাসনের সমাপ্তি।’ এখনো যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় আছেন গাজার হাজারো মানুষ। তাদের আশা, শিগগির শেষ হবে ইসরাইলের আগ্রাসন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App