×

ভিডিও

নুন আনতে পান্তা ফুরায় ঈদ দিয়ে কী হবে?

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম

ইট কাঠের এই নগরীতে ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে, কেউ শপিংয়ে ব্যস্ত, কেউ বাড়ি ফিরায় , কেউবা পেটের আহার যোগান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পথে প্রান্তরে। ব্যস্ত এ জীবনে কেউ কি খবর রাখেন রাস্তার অসহায় ও বাস্তুহারা মানুষগুলোর । অসহায় এসব মানুষের জীবনে ঈদ কিভাবে আসে কিভাবে যায় কিছুই জানেনা তারা। উপার্জন ক্ষমতা না থাকায় মানুষের কাছে হাত পেতে, নানা প্রতিকূল পরিবেশের সাথে অনেকটা সংগ্রাম করেই বেঁচে আছেন তারা। দিন এনে দিনে খাওয়া এই মানুষগুলোর ঈদের প্রস্তুতি কেমন যাচ্ছে?


বলছি, মোহাম্মদ আবদুল হান্নান মাস্টার নামে ৮০ বছরের এই বৃদ্ধার কথা। বরিশালের বানরিপারা এলাকায় থেকে প্রায় ২০ বছর আগে এসেছেন কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ বাস্তুহারা এলাকায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দীর্ঘ সময় শিশু থেকে তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের পড়িয়েছেন তিনি। হটাৎ দুইপা পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় লাঠি দিয়ে ভর করে চলতে হয় তাকে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে উপার্জন ক্ষমতা হারিয়ে পেটের জ্বালা মেটাতে হাত পাতছেন এখন মানুষের কাছে। 


তার মত রয়েছে এনামমিয়া ও তার স্ত্রী আউলিয়া বেগম। কিশোরগঞ্জ থেকে ইট কাঠের এই নগরীতে এসেছে ২০০৯ সালে। পরিবারে ছেলে এবং মেয়েসহ চার সদস্য ছিলেন তাদের। তিন বছর আগে ছেলের মৃত্যুর পর পরিবারে নেমে আসে অসচ্ছলতা। তাছাড়া এনাম মিয়ার চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ায় হুইল চেয়ারেই জীবন কাটছে তার। উপার্জন ক্ষমতা হারিয়ে স্ত্রীর উপর ভর করে, হুইল চেয়ারে বসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে হাত পাতছেন মানুষের দোয়ারে দোয়ারে। 


ঈদ আসে ঈদ যায়, কিন্তু জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ে বেঁচে থাকা এই মানুষগুলোর কাছে ঈদের আনন্দ যেন অধরাই থেকে গেল বছরের পর বছর। পেটের আহার জোগাড় করতে ব্যস্ত এই মানুষগুলোর কাছে এ নিয়ে নেই কোন অভিযোগও। চাকচিক্যময় এ শহরে তাদের মত আরও এমন অনেক অসহায় ও দুস্থ মানুষ রয়েছে যারা ঈদের চাকচিক্যকে ছুঁয়েও দেখতে পারেনি কখনও।


তাই এসব অসহায় মানুষগুলোর দাবি, সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে কিছুটা হলেও ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তারা।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App