×

ভিডিও

শিগগিরই মহাকাশে ঘটবে বিস্ফোরণ! জীবনে একবারই দেখার ভাগ্য হবে!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম

আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কোনো একদিন পৃথিবী থেকে ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি বিশাল নক্ষত্র মানে, একটি তারার বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে। এই বিস্ফোরণে জ্বলে উঠবে রাতের মহাকাশ। ভাগ্যবানেরা জীবনে একবারই মহাকাশের এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবেন। মহাকাশের করোনা বোরিয়ালিস নক্ষত্রমণ্ডল বা ‘নর্দান ক্রাউনে’র বাইনারি তারকা খালি চোখে দেখতে সাধারণত খুবই ম্লান বা ছোট লাগে। প্রতি ৮০ বছর বা এরকম সময়ের ব্যবধানে এই নক্ষত্রপুঞ্জের দুটি তারার মধ্যে স্থানচ্যুতি হয় এবং তারাদের মধ্যে এক বিশাল সংঘর্ষ ঘটে। আর এই সংঘর্ষ থেকে হয় বিশেষ ধরনের পারমাণবিক বিস্ফোরণ।


মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, ওই বিস্ফোরণের ফলে যে আলোর দ্যুতি ছড়াবে, সেটি একটি নতুন তারার মতো দৃশ্যমান হবে। ধ্রুবতারার মতোই উজ্জ্বল এটি দেখে মনে হবে, আমাদের রাতের আকাশে এ তারা হঠাৎই কয়েক দিনের জন্য হাজির হয়েছে। এ নিয়ে অন্তত তিনবার এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকবে গোটা মানবজাতি। প্রথমবার এমন ঘটনা আবিষ্কার করেন ১৮৬৬ সালে আয়ারল্যান্ডের বহুশাস্ত্রবিদ জন বার্মিংহাম। এরপর একই ঘটনা আবার দেখা যায় ১৯৪৬ সালে।


আমাদের পরিচিত ছায়াপথ মিল্কিওয়ে ও আশপাশের গ্যালাক্সিতে মাত্র ১০টির মতো “রিকারিং নোভা” রয়েছে। সাধারণ নোভা বিস্ফোরিত হতে পারে প্রতি এক লাখ বছরে একবার। তবে দুই তারার অদ্ভুত সম্পর্কের কারণে রিকারেন্ট নোভার বিস্ফোরণ কোনো মানুষ জীবনে একবার কিংবা ভাগ্য ভালো হলে একাধিকবারও দেখে থাকতে পারেন।


নোভা নিয়ে গবেষণা করেছেন জার্মান জ্যোতির্বিদ জোয়াচিম ক্রাউটার। অবসরে যাওয়া জার্মানির এই বিজ্ঞানী বলেন, টি করোনা বোরিয়ালিসের ওই বিস্ফোরণের দৃশ্যে নজর রাখবে অনেকের মতো জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপও। তিনি বলেন, ‘বিরল ওই ঘটনা যখন ঘটবে, তখন সে দৃশ্য দেখতে টেলিস্কোপের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু ঘর থেকে বাইরে গিয়ে করোনা বোরিয়ালিসের দিকে তাকিয়ে থাকলেই দেখ যাবে সেই দুর্লভ, অদ্ভুত মহাজাগতিক দৃশ্য।’ 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App