×

ভিডিও

পাহাড়ের আতঙ্ক কারা এই কুকি-চিন!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৭ পিএম

গত কয়েকদিন যাবত নতুন করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে সন্ত্রাসী সংগঠনটি। যাদের সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে আছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী।  

২ এপ্রিল রাতে একদল বন্দুকধারী রুমা উপজেলা কমপ্লেক্সের মসজিদ ঘেরাও করে ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে তুলে নেয় এবং এরপর ব্যাংকে তাণ্ডব চালায়। 

এর একদিন পর বন্দুকধারীরা থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দু’টি শাখা তছনছ করে এবং ব্যাংকের কাউন্টার ও উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন। 

এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে সশস্ত্র হামলার জন্য কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে দায়ী করলেও কেএনএফ এর তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো বার্তা আসেনি। তবে, রুমা ও থানচির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে এখনো আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ করে পাহাড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বসা কারা এই কুকিচিন, কি চায় তারা ? 

বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করলেও সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পাতায় দাবি করেছে তারা বাংলাদেশের কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নয়।

একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, তাদের ভাষায়, "সুবিধা বঞ্চিত কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর জন্যে স্বশাসিত বা পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতাসহ একটি ছোট রাজ্য" চাইলেও তারা কোন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি।

তবে কেএনএফ-এর ফেসবুক পাতা ও ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে যেসব সামরিক ট্রেনিংসহ কার্যক্রমের সচিত্র বর্ণনা দেয়া হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কোন ছবি বা ভিডিও নয় বলেই মনে করছে র‌্যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও এই কেএনএফকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

কেএনএফের ঘোষণা ও বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির অন্তত ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। যদিও দলবদ্ধ ভাবে তাদের বম হিসেবেও প্রচার করছে অনেকে।

গত এপ্রিলে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করে ফেসবুকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি করে তারা।

তখনই তাদের সাংগঠনিক প্রধান হিসেবে নাথান বমের নাম ঘোষণা করে তারা।

মি. বম এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং বান্দরবানের রুমা উপজেলায় তার বাড়ি বলে জানা যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App