×

ভিডিও

তাহলে কি শেষ হচ্ছে এরদোগানের শাসন!

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন এরদোগান। সে সময় থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ও তার মিত্ররা ইস্তাম্বুল শাসন করে আসছেন। তবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর সে বছর রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রার্থী একরাম ইমামোগলু মেয়র নির্বাচিত হলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের প্রশাসনিক ক্ষমতা এরদোগানের হাত থেকে বের হয়ে যায়।


বিশ্লেষকদের মতে, ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার আশা এরপরও জিয়ে রেখেছিলেন এরদোগান এবং তার একে পার্টি। এবার গুরুত্বপূর্ণ দুই শহর ইস্তানবুল, আঙ্কারাসহ বেশির ভাগ এলাকাতেই হারতে হয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। 


এবার নিজের সেই জায়গা আবারো ফিরে পাওয়াই ছিলো তার মূল লক্ষ্য। তবে তাতে ব্যর্থ হলেন তিনি। পরাজয়ের পর রাজধানী আঙ্কারায় একেপি সদর দপ্তরে জড়ো হওয়া জনতাকে উদ্দেশ করে এরদোগান বলেন, কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়েই জাতি ব্যালটে নিজেদের ইচ্ছা প্রদর্শন করেছে। এটি তুর্কি গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় বিজয়। তবে, একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যরা তুরস্কের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে বসবাসরত নাগরিকদের ওপর চাপ ও অপমান করার কাজে জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ করেন তিনি। 


৭০ বছর বয়সি এরদোগান ইস্তানবুলে জয়লাভের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। দেশের অর্থনীতির ‘পাওয়ার হাউস’ হিসেবে খ্যাত ইস্তানবুলের এক সময়ের মেয়র ছিলেন তিনি। তবে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণেই এই পরাজয় মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 


কিন্তু, নির্বাচনের আগে এরদোগান জানিয়েছিলেন, এই স্থানীয় নির্বাচনই তার শেষ নির্বাচন হতে পারে। যার ফলে, তার দুই দশকের শাসনামলের অবসান হতে পারে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে কোনো কোনো বিশ্লেষক এরদোগানের এই বিদায়ী বার্তাকে রাজনৈতিক ছল হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তাদের মতে, এরদোগান এই বাণীর মাধ্যমে ভোটারদের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।


অন্যদিকে, নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ইমামুগ্লু বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে এবং আমরা আঙ্কারার সেবা করে যাব। দেশ শাসনের বিষয়ে যাদের অবহেলা করা হয়েছিলো তারা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে যে কারা সত্যিকারভাবে শাসনভার নেবে। ৫২ বছর বয়সি এই ব্যক্তি ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছেন। এ ছাড়া আঙ্কারাতেও মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেছেন রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মানসুর ইয়াভাস। 


২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের বিরুদ্ধে ইমামুগ্লু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়াবেন বলে মনে করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর তাতেই বিদায় নিতে হতে পারে দুই দশক রাজত্ব করা তুরস্কের সব থেকে আলোচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App