×

ভিডিও

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যুতে ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম

রোজা ফরজ ইবাদত। যা প্রত্যেক সুস্থ, বালেগ, মুসলমান নর-নারীর ওপর মহান আল্লাহতায়ালা কর্তৃক নির্ধারিত বিধান। কিন্তু মানবিক, দৈহিক অনেক কারণে ফরজ এই বিধান পালনে ব্যর্থ কিংবা অক্ষম হলে কাজা, কাফফরারা, ফিদইয়ার বিধান রয়েছে।


মাসআলা হচ্ছে কোনো সুস্থ বালেগ মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখলে বা অনিচ্ছায় ভেঙে ফেললে অথবা কোনো ওজরের কারণে ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। আর বিনাওজরে ইচ্ছাকৃত পানাহার বা সহবাসের মাধ্যমে রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে তার কাজা ও কাফফারা অর্থাৎ লাগাতার ষাট দিন রোজা রাখতে হবে।


পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলেও কাফফারা দিতে হবে না, হ্যাঁ কাজা দিতে হবে। কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে লাগাতার ষাট দিন রোজা রাখার সময় যদি এক দিনও বাদ যায়, তাহলে আবার শুরু থেকে গণনা আরম্ভ হবে, পূর্বের গুলো বাদ হয়ে যাবে। 


পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারা বলা হয়েছে- মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখতে কষ্ট হলে ওইদিন না রেখে পরে কাজা করে নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। মাসিক পিরিয়ড ও সন্তান প্রসবোত্তর স্রাবের সময় রোজা রাখা জায়েয নেই।


তবে সে দিনগুলোর রোজা কাজা দিতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না। রোজা রাখার পর দিনের বেলায় যদি কোনো নারীর পিরিয়ড (মাসিক) শুরু হয়, তখন ওই নারীর জন্য খাওয়া-দাওয়ার অনুমতি আছে।


তবে লোকজনের সামনে না খেয়ে নির্জনে খাওয়া-দাওয়া করবে। আর যে মহিলা পিরিয়ডের কারণে রোজা রাখেনি, দিনের যে সময়ে তার রক্ত বন্ধ হবে। তখন থেকেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে রোজাদারের ন্যায় দিনের অবশিষ্ট অংশটুকু অতিবাহিত করবে এবং পরবর্তীতে উভয়েই ওইদিনের রোজা কাজা করে নিবে। 


রোজার ফিদইয়া হচ্ছে যদি কোনো ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শে রোজা রাখা খেকে বিরত থাকেন এবং পরবর্তীতে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সুস্থ হওয়ার পর রোজার কাজা আদায় করতে হবে, ফিদইয়া দিলে আদায় হবে না। 


পক্ষান্তরে যদি আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে বা এমন বৃদ্ধ যে রোজা রাখতে অক্ষম তাহলে সে ফিদইয়া আদায় করবে। রোজা রাখতে অক্ষম বলতে শরিয়তের দৃষ্টিতে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা, মারাত্মক রোগ ইত্যাদি বোঝায়। যা থেকে আরোগ্য লাভ করা এবং রোজা রাখার শক্তি ফিরে পাওয়া অসম্ভব বলে মনে হয়।


প্রত্যেক রোজার ফিদইয়া হলো, সদকা ফিতরের সমপরিমাণ, অর্থাৎ ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি গম বা তার সমপরিমাণ অর্থ। শারীরিক সুস্থতা ফিরে আসলে এবং রোজার কাজার ওপর সক্ষম হলে অতীতের রোজা কাজা করতে হবে।


ফিদইয়া আদায়ের ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের মাঝে কোনো তারতম্য নেই, সবার ওপর সমানহার প্রযোজ্য। তবে দরিদ্রতার দরুন ফিদইয়া দিতে একেবারেই অক্ষম হলে তওবা করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App