×

ভিডিও

নির্বাচনের পক্ষে ভারতের অবস্থান ছিল কঠোর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম


বিশ্ব অর্থনীতির নতুন মেরুকরণে গুরুত্ব হারাচ্ছে কি যুক্তরাষ্ট্র? সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদের ওপর। এ যেমন বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বা অতি-সক্রিয়তাকে মোটেই পছন্দ করছে না ভারত।

বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেয়ার পরেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত আত্মগোপনে চলে যেতে হয়ে ছিল। দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।

গত ২৮ মার্চ বিকেলে ট্রান্সফরমেশন ইমার্জেন্স অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইভোলিইশন অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টাইজ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।

স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক সুশান্ত সারিনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ওআরএফ কলকাতার পরিচালক অনুসূয়া বসুরায় চৌধুরী, অন্যতম আলোচক আর একজন সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও ঢাকাতে সাবেক হাইকমিশনার ভিনা সিক্রি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ভারতের পক্ষ থেকে তখন এই কড়া বার্তাটা শুনিয়ে দেয়া হয়ে ছিল। যার পরিণতিতে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আর ভোটের সময় দেখাই গেলো না। কোথায় যে তিনি গা ঢাকা দিলেন সেটা তিনিই জানেন।

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলা যায় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো দল যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে তার জন্য বিজয়ী দলকে দোষারোপ করা সাজে না। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের ভারতেও হামেশাই দেখা যায়, যে দল জানে তারা ভোটে হারবে তারা অনেক আগে থেকে বলতে শুরু করে ইভিএম কারচুপি করা হচ্ছে। কাজেই তাদের অজুহাতের অভাব হয় না।

ভিনা সিক্রি বলেন, তার মূল্যায়ন হলো আমেরিকা আসলে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে একটি মডারেট ইসলামপন্থি দল হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের কোনো ধারণাই নেই যে জামায়াতের চিন্তাচেতনা ও কর্মকাণ্ড কতটা উগ্রবাদী। 

পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, আমেরিকাও আসলে জানে জামায়াতের প্রকৃত রূপটা কী। কিন্তু সেই একাত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে বিদ্বেষমূলক একটা মনোভাব ছিল। তার প্রতিফলন আজও রয়ে গেছে। এই কারণেই ওয়াশিংটন আজ অর্ধশতাব্দী বাদেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তোল্লাই দিয়ে যাচ্ছে। 

ইউরোপের বেলগ্রেড থেকে অনলাইনে আলোচনায় অংশ নেয়া শহীদুল হক বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের নিয়তি যে এক সূত্রে গাঁথা এই কথাটি তিনিও অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করেন। দুই দেশের সম্পর্ককে চিরায়ত বন্ধুত্বের সম্পর্ক হিসেবে বর্ণনা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App