×

ভিডিও

সফলতাকে পুঁজি করে ৩৩ বছরে ভোরের কাগজ (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম

নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ৩২ বছর পূর্ণ করে ৩৩ বছরে পা রাখল দৈনিক ভোরের কাগজ। মুক্ত প্রাণের প্রতিধ্বনি স্লোগানকে বুকে ধারণ করে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এ দৈনিকটি। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে একঝাঁক উদ্যমী তরুণের প্রচেষ্টায় সংবাদপত্রের প্রচলিত ধারা পাল্টে দিতে যাত্রা শুরু করে ‘ভোরের কাগজ’।

দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ভোরের কাগজের অবস্থান অনঢ় ও আপসহীন। গত ৩২ বছরে এ অবস্থান থেকে একচুলও বিচ্যুত হয়নি পাঠকপ্রিয় এই দৈনিকটি। প্রকাশের দিন থেকেই পাঠকমহলে সমাদৃত হওয়ার কারণে পাঠক চাহিদাকে মাথায় রেখে সংবাদের সঙ্গে বিষয় বৈচিত্র্য এনে অল্পদিনেই দেশের এক নম্বর সংবাদপত্রের জায়গা দখল করে নেয় ভোরের কাগজ।

১৯৯২ সালের আজকের এই দিনে নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে তারুণ্যের দুরন্ত সাহসকে সম্বল করে পাঠকের সামনে হাজির করেন ভোরের কাগজ। অল্পদিনেই নিজেদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সম্পাদকের দায়িত্ব নেন সম্পাদক মতিউর রহমান। ৯২ থেকে ৯৮ বিজয় কেতন উড়িয়ে এগিয়ে চলা ভোরের কাগজের গায়ে বড় ধাক্কা লাগে ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে। 

করপোরেট যুদ্ধের বলি হয়ে হোঁচট খায় ভোরের কাগজ। সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে শতাধিক কর্মী একদিনে পদত্যাগ করায় তৈরি হয় সংকটের। আশঙ্কা তৈরি হয় ভোরের কাগজের অপমৃত্যুর। কিন্তু সব আশঙ্কাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে নিজের জীবনী শক্তি আর মনোবলকে পাথেয় করে ড্রাইভিং সিটে বসানো হয় বেনজির আহমেদকে। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে বেনজীর আহমদ আরো একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ কর্মী যুক্ত করে ভোরের কাগজকে নিয়ে যান আরো একধাপ উচ্চতায়।

এক পর্যায়ে সম্পাদকের দায়িত্ব পান আবেদ খান। স্লোগান বদলে লেখা হয় ‘মুক্ত প্রাণের প্রতিধ্বনি’। কিছুদিন না যেতেই আর্থিক সংকটে পড়ে ভোরের কাগজ। এর সঙ্গে যুক্ত হয় রাজনৈতিক পরিবেশ ও তৎকালীন সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণ। বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। আর্থিক সংকটের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে ধুঁকতে ধুঁকতে পত্রিকার কাটতি কমাতে বাধ্য হয় মালিকপক্ষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয় কলেবর কমানো। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছে ভোরের কাগজ ৮ পৃষ্ঠাও প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই পর্যায়ে ভোরের কাগজ ছেড়ে চলে যান সম্পাদক আবেদ খান। নিদারুণ আর্থিক সংকটে মাসের পর মাস বেতন দেয়া যাচ্ছিল না সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

করুণ এই পরিস্থিতিতে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন শ্যামল দত্ত। যিনি শুরুর দিন থেকে ভোরের কাগজের রিপোর্টার থেকে চিফ রিপোর্টার, এরপর নির্বাহী সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি। নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ডুবন্ত ভোরের কাগজকে ধীরে ধীরে টেনে তুলেন। ৩২ বছরে ভোরের কাগজ ৫ জন সম্পাদক পেলেও শ্যামল দত্ত সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন টানা ১৮ বছর। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও কর্মস্পৃহায় ভোরের কাগজ আজ দেশের স্থিতিশীল ও প্রতিষ্ঠিত দৈনিক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার মূলমন্ত্র।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App