×

ভিডিও

হাট কাঁপাতে বাজারে আসছে রাজা-বাদশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ০২:৫২ পিএম

https://www.youtube.com/watch?v=dbfW3mOKILg
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর নয়াপাড়া গ্রামের আছর আলী শখের বশে ফ্রিজিয়ান জাতের দুইটি ষাঁড় পাঁচ বছর আগে সাড়ে তিন লাখ টাকায় কিনে লালন-পালন শুরু করেন। নিজের সন্তানের মত পরম-যত্নে আলগে রাখেন।   হাট কাঁপাতে বাজারে আসছে রাজা-বাদশা সে থেকে তাদের একজনের নাম রাখেন রাজা; আরেক জনের বাদশা। কালোর মাঝে সাদা রঙের দু’টি ষাঁড়ের রাজা দৈর্ঘ্য ১১ফুট, উচ্চতা প্রায় ৯ফুট, ওজন সাড়ে এগারো শ’ কেজি; আর বাদশা দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৮ ফুট, ওজন এক হাজার কেজি। রাজা-বাদশা একসাথেই থাকেন ও খাবার খায়; একজন আরেক জনের চোখের আড়াল হলেই চেঁচামেচি শুরু করেন। সময়ের ব্যবধান একটু বেশি হলেই চেঁচামেচি গর্জনে রুপ নেয়। আকর্ষণীয় এই জুটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন লোকজন। ষাঁড় দুটি যখন সীনা টান করে মাথা উচু করে তখন আকর্ষণ আরো বেড়ে যায়। বুধবার বাড়িতে গিয়ে এমনই দেখা যায়; সোন্দর্য্য বাড়াতে দর্জির দোকান থেকে লাল কাপড়ের জামা বানানো হয়। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজার দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা আর বাদশার দাম ৯ লাখ টাকা। তবে দাম কিছু কম বেশ হলেও এবার বিক্রি করে দিবেন। তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে বাজার থেকে কিনে আনার পর থেকে আদর যত্নেই বড় করেছেন ষাঁড় দুটো। নিজের সন্তানের মতো বড় করতে পরিশ্রম করছেন পরিবারটি। রাজা বাদশার জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেড। রাজা-বাদশার জন্য রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের সুব্যবস্থা। খাবারের বিষয়ে আলাদা যত্ন নিতে হয়। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রয়েছে চিড়া, ভূষি, কলা, ধানের কুড়া, ছোলা,ভুট্টা,কাঁচা ঘাস, লাল চিনি ইত্যাদি। রাজা বাদশার আকার, আকৃতি ও দেখতে অনেক সুন্দর। ফ্রিজিয়ান গরু রোগ প্রতিরোধী। বাংলাদেশে আবহাওয়ায় এই জাতের গরু খুবই মানানসই। এ জাতের গরু সাধারণত ১০০০-১৮০০ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম। রাজা বাদশার মালিক আছর আলী জানান, অনেক যত্ন করে আমি আমার রাজা বাদশাকে চার বছর ধরে লালন-পালন করছি। তাই আমার ই”ছা রাজা বাদশাকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দিব। কোন ক্রেতা ক্রয় করলে রাজা বাদশার সাথে দুটি ছাগল ফ্রি দিব; এবং কোরবানির দিনের আগ পর্যন্ত ওদেরকে লালন-পালন করে দিব। সেই সাথে বাড়ি পৌঁছে দিবেন। তাই অপেক্ষায় আছেন আছর আলী। গত বছর রাজা বাদশার দাম সাড়ে ৯ লাখ টাকা হলে বিক্রি করেননি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: উজ্জল হোসাইন জানান, ষাঁড় দুটো লালন-পালনের বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হতো। তিনি কোন ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড় দুটো লালন-পালন করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App