মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি
ওবায়দুল কাদের-আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশটির সাবেক আওয়ামী সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং অর্থমন্ত্রী ইয়েলেনকে চিঠি লিখেছেন ছয় কংগ্রেস সদস্য। চিঠিতে শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানান এ আইনপ্রণেতারা।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, বাংলাদেশের সাবেক সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমন করতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বেআইনিভাবে শক্তি প্রয়োগ করেছে এবং রাবার বুলেট, পেলেট গান, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস এবং লাইভ রাউন্ড ছুঁড়েছে।
আরো পড়ুন : ড. ইউনূস ও বাংলাদেশকে নিয়ে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইনপ্রণেতারা বলেন, ভিন্নমতাদর্শের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের বড় ধরনের অভিযানের অংশ ছিল এটি। কিন্তু সাবেক সরকারের নেতাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেও তাকে জবাবদিহিতার প্রয়োজন রয়েই গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যাক্ট’সহ প্রয়োগ উপযোগী সব আইনের আওতায় ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানান কংগ্রেস সদস্যরা।
গত ১৫ জুলাই সহিংস অভিযানের পর দেশব্যাপী কারফিউ জারি করা হয় এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এটাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে সে সময় পুলিশ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভকে কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করেছে। বেশিরভাগ স্থানে সহিংসতা এবং মৃত্যুর জন্য পুলিশ এবং বিজিবিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
এছাড়া সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এতে আনুমানিক ২০০ জন নিহত এবং আরো কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়। এছাড়া আরো ১০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।