×

ভ্রমণ

হ্যানয়ের পথে পথে

Icon

মারিয়া হোসেন, ভিয়েতনাম (হ্যানয়) থেকে ফিরে

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

হ্যানয়ের পথে পথে

হ্যানয়ের পথে পথে

হ্যানয়ে চতুর্থ দিনের শুরুতেই মাথায় রেখেছিলাম, আজ অযথা সময় নষ্ট করবো না। প্রপার প্ল্যান করেই তাই সাত সকালে বেরিয়ে পড়ি। উদ্দেশ্য এবার হ্যানয়ের সবচেয়ে বিজি ট্যুরিস্ট স্পট ‘সেন্ট জোসেফ ক্যাথেড্রাল’। 

চার্চে গেলেই আমার কেমন যেন আনমনা লাগে। মিশ্র একটা অনুভূতি। ঠিক বোঝানো সম্ভব নয়। কার মুখোমুখি হবার ভয়? তবে চার্চের চেয়ে ঘুরেফিরে আমার চোখ পড়ে যায়, এর লাগোয়া কাচঘেরা ছোট্ট লাইব্রেরিতে। বইগুলাতে হাত বুলাতেই বোঝা যায়, এটা নেবার সাধ্য আমার আপাতত নাই।


এরপর ওখান থেকে বেরিয়ে ছোট্ট গলি পার হয়ে চলে যাই বিখ্যাত ‘বুক স্ট্রিটে’। অনেকটা আমাদের নীলক্ষেতের মোড় কিংবা কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের মতোন। ওখানে গেলে যেন মনে হয়, এ এক আরেক স্বর্গ!

এদিকে আমার মতো বই পড়ুয়াদের জন্য আরেক স্বর্গ ‘টেম্পল অব লিটারেচার’। ভিয়েতনামের বিখ্যাত স্কলার আর শিক্ষাগুরুরা এখান থেকেই তাদের দীক্ষা নিয়েছিলেন। ওখানে গেলে মনে হয়, ঠিক যেন কোরিয়ার ঐতিহাসিক ড্রামার শুটিং স্পটে চলে এসেছি। 


দিনের আলো ফুরিয়ে আসে। সারাদিন হাটার কারণে অবশেষে তাই রুমে ফিরি। এরপর সন্ধ্যে নামতেই চলে যাই হ্যানয় শহরের অন্যতম আকর্ষণ ‘ওয়াটার পাপেট শো’ দেখতে। সত্যি বলতে এক ঘণ্টা কোনদিক দিয়ে ফুরিয়ে যায়, টের পাই না। দেখার সময় বার বার মনে হচ্ছিল, ইশ আমাদের পুতুল নাচটাও যদি এভাবেই বাঁচিয়ে রাখতো। 

রাত বাড়ে, হ্যানয়বাসীরা ঘুমে মগ্ন তখন। রাস্তায় শুধুই ভালোবাসার মানুষগুলো। মন খারাপ করে যখন এদিক ওদিক তাকাই, এক কোণায় চোখ পড়ে যায় বিখ্যাত ‘নোট ক্যাফে’র দিকে। যদিও প্ল্যান ছিল, পরদিন সকালে আসার। কি মনে করে ঢু মারি। 


বাকি সবার মতো এক কাপ কফি নিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য লিখে ফেলি একটি চিরকুট। আমি না থাকি, কিন্তু আমার লেখা পৃথিবীর আরেক প্রান্ত থেকে আসা অচেনা কোনো মানুষ এসে নিশ্চয়ই পড়ছে এখন। দেয়ালে ঠাসা সবুজ কাগজটার দিকে তাকিয়ে হয়তো ভাবছে, কী লেখা ওখানে?

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App