হাথুরু বন্দনায় শান্ত
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ আলোচিত-সমালোচিত নাম হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সম্প্রতি নানা মহল থেকে গুঞ্জন উঠেছে তাকে বিসিবি থেকে বিদায় দেয়ার। বিশেষ করে বিসিবির নেতৃত্বে আমূল পরিবর্তন আসার পর এমন গুঞ্জন দানা বাঁধতে থাকে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ম্যাচের ঐতিহাসিক টেস্ট জয় হাথুরুর জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে এনেছে। এরই ধারাবাহিকতায় হাথুরুসিংহের প্রশংসায় মাতলেন পাকিন্তান থেকে দেশে ফেরা টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার অধিনায়ক জানান, হাথুরুসিংহের সঙ্গে তার এবং অন্য খেলোয়াড়দের খুবই ভালো বোঝাপড়া।
দেশে ফিরে হাথুরুকে নিয়ে শান্ত বলেন, ‘খুবই ভালো বোঝাপড়া, কোচের সঙ্গে ক্রিকেটাররা খুবই পরিষ্কার এবং খুবই সাপোর্টিভ ছিলেন উনি। প্রতিটি ক্রিকেটারকে উপযুক্ত পরিকল্পনা দিয়েছেন এবং ড্রেসিং রুমের পরিবেশ খুবই দারুণ ছিল। যে ক্রিকেটার পারফর্ম করেছে, যে করেনি, সবাই সবার পাশে ছিল। বিশেষ করে, প্রতিটি কোচই ক্রিকেটারদের পাশে ছিল ভালো সময়ে ও খারাপ সময়ে। ড্রেসিং রুমে কোচের ভূমিকাটা দারুণ ছিল এই সময়ে।’ পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের কৃতিত্ব শান্ত সতীর্থদের পাশাপাশি কোচদেরও দিয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ক্রিকেটাররা অনেক কষ্ট করেছেন। কোচিং স্টাফ যারা ছিলেন, তারা অনেক কষ্ট করেছেন। সঠিক পরিকল্পনা দিয়েছেন। সবাই দলের জন্য খেলার চেষ্টা করেছেন। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করেছেন।’
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ ও ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্কোরকার্ড দেখে বাংলাদেশের জয় সহজ মনে হলেও চাপ তো ছিলই। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তান ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। জ¦লজ্যান্ত উদাহরণ তো দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে পাকিস্তানের বোলিং তোপে বাংলাদেশ ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়ায় লিটন দাস-মিরাজের ১৬৫ রানের জুটিতে।
শান্তও সেটা স্বীকার করেছেন, ‘প্রতিটা টেস্ট ম্যাচে সেশন বাই সেশন খেলতে হয়। একটা দুটো সেশন এদিক সেদিক গেছে।’
পাকিস্তান সিরিজ শেষে খুব একটা বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। দিন দশেক পরই ভারত সফরে যাবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আসন্ন এই সিরিজে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে পাকিস্তান সিরিজের পারফরম্যান্স এমনটাই মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘এরকম জয়ের পর তো অবশ্যই আত্মবিশ্বাস প্রত্যেকেরই বেশি থাকবে এবং দলের মধ্যে বিশ্বাস উপরের দিকে থাকবে। ভারত সিরিজ কঠিন একটা সিরিজ হবে। নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। দলের যা অবস্থা এখন, নিজেদের সেরাটা খেললে অবশ্যই ভালো খেলা সম্ভব।’