ইউরোজয়ীদের বরণ করে নিল স্প্যানিশরা
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ ডেস্ক : মাদ্রিদের বারাজাস বিমানবন্দরে গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বহনকারী উড়োজাহাজ অবতরণ করে। কয়েক ঘণ্টা পর তারা জারজুয়েলা প্রাসাদ পরিদর্শনে যান। সেখানে স্কোয়াডের সবাই স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এরপর খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফরা মাদ্রিদে ছাদখোলা বাসে প্যারেডের জন্য উঠে। রাত ৯টার পরে প্লাজা সিবেলেসে বাস পৌঁছানোর আগে শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত রাস্তাগুলোর পাশ দিয়ে তাদের বহনকারী বাস যায়। স্পেনের সরকার জানিয়েছে, পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ উদযাপনে অংশ নিয়েছিল।
মাদ্রিদের সিবেলেস স্কয়ারে আনন্দ ভাগাভাগিতে হাজারো সমর্থকের সঙ্গে একাকার মোরাতা-রদ্রি-ওলমোরা। নানা ভঙ্গিমায় বাঁধনহারা উচ্ছ¡াস লা-রোজাদের। উদযাপনে আতসবাজিসহ প্রিয় খেলোয়াড়ের ছবি নিয়ে আসেন কেউ কেউ।
সাধনার ট্রফি নিয়ে নাচগানে পিছিয়ে থাকেননি জুনিয়র ইয়ামাল থেকে শুরু করে সিনিয়র কারভাহালও। গর্বে বুক ফুলিয়ে স্প্যানিশ সমর্থকদেরও চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা দেন, লা-রোজা দলপতি।
এর আগে, দুই রাজকুমারীকে নিয়ে রাজপ্রাসাদে খেলোয়াড়দের স্বাগত জানান, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ ও রানি লেতিজিয়া। এ সময় চতুর্থ শিরোপার প্রতীকী জার্সি, রাজার হাতে তুলে দেন স্প্যানিশ দলপতি মোরাতা। নিজ বাসভবনে ইয়ামাল-নিকোদের বরণ করে, লা-রোজাদের টিম স্পিরিটের প্রশংসা করেন, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
দলের সবার সঙ্গে উদযাপনে যোগদানের আগে স্পেনের অধিনায়ক আলভারো মোরাতা মঞ্চে ইউরো ট্রফি সামনে আনেন। ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন! এই দলের অধিনায়ক হতে পেরে আমি গর্বিত’। এরপর বাসে করে মাদ্রিদের রাস্তায় প্যারেড শুরু করে পুরো দল। এ সময় সমর্থকদের থেকেও ভালোবাসা পেয়েছে স্পেনের ফুটবলাররা।
এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবচেয়ে সফল দলে পরিণত হলো স্পেন। এর আগে আরো তিনবার ইউরোর শিরোপা জিতেছিল তারা। ১৯৬৪ সালে ইউরো জেতার পর দীর্ঘদিন এই শিরোপার অপেক্ষায় থাকে লা-রোজারা। এরপর ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো জিতে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতার তালিকায় জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে জায়গা করে নেয় স্পেন। তবে এবার শিরোপা জিতে এককভাবে সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী দল এখন স্পেন।
এর আগে রবিবার রাতে মেগা ফাইনালে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয় শিরোপা নিজেদের করে নেয় স্পেন। এটি দলটির চতুর্থ ইউরো শিরোপা।
যা নতুন এক ইতিহাস বটে। কারণ এর আগে সর্বোচ্চ তিনটি শিরোপা ছিল জার্মানির। এই জয়ের মাধ্যমে জার্মানিকে ছাপিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক যুগ পর আবারো ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিল ইয়ামালরা।