ইকুয়েডরের কোচ চাকরি হারালেন
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ ডেস্ক : লম্বা সময়ের পরে কোপা আমেরিকার শীর্ষ চারে খেলার সুযোগ পেতে যাচ্ছিল ইকুয়েডর। তবে শেষমেশ গতকাল আর্জেন্টিনার কাছে পেনান্টি শুটআইটে ৪-২ গোলে হেরে সে স্বপ্ন আবারো অধরা রয়ে যায়। দলের এমন হারের পর গতকাল চাকরি ছাড়তে হয়েছে ইকুয়েডরের কোচ ফেলিক্স সানচেজকে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) ও কোচ ফেলিক্স সানচেজের সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন।
ফেলিক্সকে চাকরিচ্যুত করা নিয়ে গতকাল এক বিবৃতি দিয়েছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এফইএফ জানাচ্ছে, আজ (গতকাল) ফেলিক্স সানচেজের সম্মতির ভিত্তিতে তার সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের ইতি টানার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে। ফেলিক্স এবং তার কোচিং স্টাফের পেশাদারিত্ব ও কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে তাদের সফলতা কামনা করি’।
কোপা আমেরিকার শেষ চার আসরের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ১৯৯৩ সালে সেমিতে খেলা ইকুয়েডর। কিন্তু গতকাল টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরে গেল আর্জেন্টিনার কাছে। প্রথমার্ধে লিসান্দ্রো মার্তিনেসের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। সেই লিড বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ধরে রাখে ৯০ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু ইনজুরি টাইমে কেভিন রদ্রিগেসের হেডে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। ১-১ গোলে দুই দল অবিচ্ছিন্ন থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে প্রথম দুই শটই মিস করে বসে ইকুয়েডর। দুটি শটই ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তাই পরে দুই গোল করলেও সেমিফাইনালে আর উঠা হয়নি ইকুয়েডরের। তাতেই ম্যাচের পরপরই বরখাস্তের খবর শোনেন সানচেজ ফেলিক্স।
গত বছরের মার্চেই ইকুয়েডরের সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেন তিনি। কিন্তু তা টিকল না দেড় বছরও। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ইকুয়েডরকে নিয়ে ভালোই করছিলেন ফেলিক্স। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান (পঞ্চম) ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও চিলির উপরে। ইকুয়েডরের কোচ হিসেবে ১৯ ম্যাচের ১০টিতে জিতেছেন ফেলিক্স। এর আগে ৪৮ বছর বয়সি সানচেজ কাতার জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত। ২০১৯ এশিয়ান কাপ জয়ের পাশাপাশি কাতারকে ২০২২ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বেও তুলেছেন। বিশ্বকাপে কাতার গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ হারার পর ফেলিক্সের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। তারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটল এবারো। হারের পর চাকরি ছাড়তে হলো তাকে। কোপা থেকে দল ছিটকে গেলেও, শিষ্যদের প্রশংসা করেছেন দায়িত্ব ছাড়া ৪৮ বছর বয়সি এই ইকুয়েডর কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রুপ পর্ব থেকে নকআউট পর্বে এসেছিলাম। এরপর আমরা আর উন্নতি করতে না পারলেও, আমি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে চাই। আমার মতে, তারা এর কৃতিত্ব পাওয়ার দাবিদার। কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে অন্যদের তুলনায় আমরা কম অভিজ্ঞ। তবে ফলাফল আমাদের পক্ষে না এলেও, এই তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস রাখা যায়।