×

সাময়িকী

এমরান হাসান

‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’ আধুনিক বাংলা কবিতার পুষ্পকরথ

Icon

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’ আধুনিক বাংলা কবিতার পুষ্পকরথ

বাঙালি জাতিসত্তার মূলে প্রোথিত বাস্তববাদী চিন্তা, ধ্যান থেকে হৃদকমলে জেগে ওঠা এক আপ্তধ্বনির নাম বাংলা কবিতা। সেই বাংলা কবিতার শেকড়সন্ধানী চিন্তার বেদিতে যে কবিতাগ্রন্থগুলো নতুন অবয়বে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, আদ্যনাথ ঘোষের ‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’ তার অন্যতম। সমকালীন বাংলা কবিতার এক বিশাল আর্তি এই কবিতাগ্রন্থে সূচিবদ্ধ কবিতাবলির মাধ্যমে আরেকবার জেগে উঠেছে, সে আর্তি মাটিবর্তী কাব্যঘরানার আড়ালে সাবলীল বোধিজজ্ঞানের। সে আর্তি রোদ-বৃষ্টি আর অনির্বাণ আলোয় ভেজা সিক্ত অথচ দারুণ তৃষ্ণার্ত প্রাণের। আদ্যনাথ ঘোষ তার এই কবিতাগ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় উপস্থিত করেছেন এমন সব দ্যোতনাদ্যুতি, যা বাংলা কবিতার বিলুপ্তপ্রায় তৃষ্ণাকে, বিলুপ্তপ্রায় মোহচ্ছন্নতাকে জাগিয়ে তোলে। কবিতার প্রয়োজনে নয়, বাঙালি মাটিবর্তী সত্ত্বাকেই ভাষিক এবং ভাবনাগত দীনতার দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি দিয়েছে, পুনরুদ্ধার করেছে এই কবিতা বই-

ও আমার উঠোনের কোনা-জীবনের নির্ঝর সমুদ্র ফোটার

আশায় চোখ মেলে ঘুমের ভিতর বলে ওঠো; ও-পরান বন্ধ, বুকের কাছে

বিষথলি বাতাস পুষে মেদ মাংস, প্রিয় নারী ও ফুলের দোলায়

তুমি কি নিঃশব্দে বিষাদগীতি গাইতে পারো? প্রিয় জন্ম, পোড়া চোখ

আর মরা গাঙে নিয়তির পর্দা ঠেলে তুমি কি আর্তস্বেের চিৎকার করেই

জন্ম জন্মান্তরে দুচোখ বেয়ে নদী হয়ে ওঠো।

(উঠোনের কোনা)

আধুনিক বাংলা কবিতার ঘর-গৃহস্থালিতে লোকজ ধারা বহমান এ কথা স্বীকার্য। এদিক থেকে বাংলা কবিতা মুখ ফিরিয়ে নেয়নি কখনো। কবিতা আমাদের লৌকিক বাংলার আজীবন লালন করা বাঙালিয়ানাকে পুঁজি করেই তৈরি করেছে তার অমৃত অমিয় ভাণ্ড। আদ্যনাদ ঘোষের কবিতায় সে বিষযটিই বিবৃত হয়েছে পরম নৈপুণ্যতায়। তার কবিতা বই ‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’ এ মন্তব্যের স্বার্থকতা বহন করে। এ কবিতা বইয়ের প্রতিটি কবিতায় তিনি তুলে এনেছেন নতুন নতুন ভাবনার বহুমাত্রিক ধ্যান। এই কবিতা বইয়ে সূচিবদ্ধ ত্রিভুজিয়া ঘাট, অনাহুত, বিষণ্ন সংশয়, বিকেলের ক্ষত, পালক, লালন হাওয়া, রাত্রির গল্পে, নির্জলা কষ্ট, তৃষ্ণানদী, রোদপত্র, আদিম চৌকি, চোখের উনুন, প্রতীক্ষার দৃষ্টি, আড়াল শিরোনামের কবিতাগুলো অনন্য স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হয়েছে।

কবিতার প্রয়োজনে তিনি চিন্তার গভীরে গিয়ে হঠাৎ ফিরে আসেন নিজের ভেতরে, যেখানে নিজের সঙ্গেই নিজের বিরোধিতা, নিজের ভেতরেই সব বিদ্বেষ। আলাপচারিতায় তিনি নিশ্চুপ হয়ে আসেন শব্দের ভেতরে, বোধের প্রয়োজনে। যে কারণেই তার কবিতা সাবলীলতায় বদলেছে ধীরলয়ে, একা। কবিতার জন্য আত্মমগ্নতা সত্যিই জরুরি, তার চেয়েও জরুরি নিজের পরিবেশ আর প্রতিবেশ সম্পর্কে অবগত থাকা। এ দুটি বিষয়ের একটি অপরটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবেই জড়িত। অপ্রিয় সত্য এই যে, বর্তমান সময়ের অধিকাংশ কবিই উপর্যুক্ত দুটি বিষয় সম্পর্কে সচেতন নন। এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আদ্যনাথ ঘোষ তার কবিতায় সচেতন ভাবেই এই নির্জনতার কাজটি করেছেন।

গত শতকের শেষে বাংলাদেশের কবিতা বাঁক নিতে শুরু করেছিল নতুন এক সম্ভাবনার দিকে। সার্থক কবিতা কখনো একাডেমিক নয় বরং একাডেমিক চিন্তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করে চিরসুন্দর এক ম্যুরাল হয়ে ওঠা আশ্চর্য চেতনার প্রকাশ। এ পথেই হেঁটেছেন কবি আদ্যনাথ ঘোষ। তার এই কবিতা বইয়ের অধিকাংশ কবিতায়ই এ রকম বোধের সুবর্ণ শৈল্পিকতা ধরা পড়ে-

চোখের ক্যানভাস ছেড়ে পালিয়েছে জলরঙা আকাশ

জ্যোৎ¯œার শরীর নিয়ে নুয়ে পড়া প্রসূতি কি

অসহ্য আলোর হাটে অনুবাদ ভুল করে যায় বিকিকিনি?

আঁচলের প্রতিধ্বনি নিয়ে প্রতিদিন গন্ধ মাখে দুঃখিত গোলাপ।

হয়তো ¯েœহের মাঠ, শস্যালী আলপথে ঘোলাটে নগরে এসে

নোটিশ টাঙায় নতুনের মুখরিত ফসলের মাঠে।

(চোখের উনুন)

একজন কবিই জানেন তার অন্তর্নিহিত চিন্তাসত্তার আদি এবং অনন্ত অন্তিম পরিচয়। কেবল তার পক্ষেই জানা সম্ভব হয়ে ওঠে তার কবিতাচর্চার সামগ্রিক চিন্তা আর দর্শনের আদ্যোপান্ত। কবিতা সৃষ্টির প্রাক্কালে যাবতীয় দর্শনকে কবি আশ্রয় করেন কেবলি কী তার চিন্তার আয়োজন সম্পন্ন করতে নাকি আরো গভীরতর কোন বোধ নির্মাণের তাগিদে? এ রকম প্রশ্ন আদ্যনাথ ঘোষের কবিতায় খুঁজে পাওয়া যায়। তার কবিতার আদিগন্ত সত্যের ভয়াবহ রকমের সততার উন্মোচন ঘটেছে। একজন কবি তার কবিতায় দৈনন্দিন জীবনযাপনের ক্রিয়াকর্মই তুলে ধরেন অনেক ক্ষেত্রেই। যদিও সবটাতেই এই প্রক্রিয়া সমানভাবে কাজ করে না। কবিতার ভেতরে কবি তার নিজস্ব ভাবনা বুননের পাশাপাশি তুলে আনেন সময় আর আনুষঙ্গিকতার বিরল চিত্রকল্প। ‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’ এমনই কবিতাগ্রন্থ যার ভেতরে কবি টেনেহিঁচড়ে নয় বরং পরম ভালোবাসায় বের করে এনেছেন সেসব বিলুপ্তপ্রায় সাধারণ অনুসঙ্গ, যা হারিয়ে যেতে বসেছে মানবসত্তার বোধ বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে। এ বিষয়টি কিন্তু সহজেই স্বীকার্য, বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কবিই তার কবিতা সৃষ্টির মোহক্ষণে তার মনোজাগতিক তন্দ্রাচ্ছন্নতা ভেদ করে পৌঁছে যেতে পারেন অলৌকিক এক উজ্জ্বল সা¤্রাজ্যে, যেখানে অযুত প্রশ্ন ধরা পড়ে তার দিব্যজ্ঞানে। আদ্যনাথ ঘোষের এই কবিতা বইয়ের কবিতাগুলোতে এ রকম ভাষিক দ্যোতনা উঠে এসেছে। তার কবিতার প্রকাশভঙ্গিমা অসাধারণ রকমের চিন্তনবোধজ্ঞানে উজ্জ্বল।

গত শতকের পঞ্চাশদশকের কবিদের মধ্যে আল মাহমুদ এবং শহীদ কাদরী তাদের কবিতায় বোধ এবং প্রান্তিক চেতনার মানুষের আত্মিক ভাবনার যে আবহ নির্মাণ করেছিলেন, সেটি বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের কবিতায় হয়ে উঠেছিল এক অভিনব সংযোজন। এই কথা স্বীকার্য, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী ছাড়াও তৎকালীন অনেক কবির কবিতায় এই আবহ সুচাররূপে ফুটে উঠেছিল। একবিংশ শতাব্দীতে এসে বাংলা কবিতা তথা বাংলাদেশের কবিতা তীব্রভাবে বাঁকবদল করে উত্তরাধুনিকতা এবং বিপরীত কবিতাধর্মী ভাবনার দিকে। এ দেশের অধিকাংশ কবিরাই ভুলে যেতে থাকে এই জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা চিরায়ত কাব্যবোধ আর গ্রামীণ শিকড়ের অবিচ্ছেদ্য টান, তাদের মগজে-মননে বারবার আশ্রয় নিতে থাকে পশ্চিমা ঘরানার সাহিত্যের আবহাওয়া। আজো এর থেকে পুরোপুরি মুক্তি পায়নি বাংলাদেশের কবিতা। একটি বিষয় চরম আক্ষেপের সঙ্গেই মেনে নিতে হয়, নতুন শতাব্দীর শুরু হওয়ার ২০ বছর অতিক্রান্ত হলেও বাংলাদেশের কবিতায় এখনো পশ্চিমা কবিতার প্রভাব সাংঘাতিকভাবে বিদ্যমান। এসব ঘোর থেকে একেবারেই আলাদা করে তৈরি হয়েছে ‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’। আদ্যনাথ ঘোষ তার অবচেতন মনেই নির্মাণ করেছেন এই কবিতা বইয়ের প্রতিটি কবিতা। এই কবিতাগ্রন্থের প্রতিটি কবিতায়ই প্রাঞ্জলতার ছাপ সুস্পষ্ট-

জলের ভেতরে জল; কাছে এসে গান গায় তৃষা।

দূরের আগুনে পোড়ে-জলের জ¦ালাপোড়া শরীর

কেন তার দুঃখের কপাল। সাথে পোড়ে চৈতালি দুপুর।

মেঘের বিকেল নিয়ে গান করে বিনিদ্র বাতাস।

ঘুমহীন আগুন ওড়ে জলের পোড়ামুখী মায়ায়।

(শূন্যের ভেতরে শূন্য)

অদ্ভুত সুন্দর আদি-বাস্তবতার প্রকাশ এই কবিতায়। এ রকম চিন্তার রেশ পুরো বইয়েই রয়েছে। বাংলা কবিতার প্রেক্ষিত বিবেচনায় আদ্যনাথ তার এই গ্রন্থের কবিতাগুলোয় বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেছেন আবহমান কালের মনস্তাত্ত্বিক আর্তি আর মাটিবর্তী সাহসী উন্মাদনা। মানবিক মূল্যবোধ আর জাগতিক চিন্তার রেশ আদ্যনাথ ঘোষ তুলে এনেছেন এই কবিতা বইয়ে। কবিতার ভেতরে স্বাভাবিক ধ্যান আর সাহসী উচ্চারণের পথকে আড়াল করে তিনি পৌঁছে গেছেন আক্ষরিকতাকে ছাপিয়ে অতলান্তিক বোধের পথে, যেখানে পৌঁছে তিনি উপলব্ধি করেছেন যাপিত যন্ত্রণা থেকে বহুদূরের এক ম্যুরাল।

বাংলাদেশের কবিতার প্রেক্ষাপট বিচারে নগরায়ণের ভেতরে আরেক মূর্ছনার প্রকাশ তো অনেকেই করেছেন কবিতার কাব্যময়তায়। আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান পরস্পর বিপরীত মেরুতে বাংলা কবিতাকে নিয়ে গেলেও সাবলীল ভঙ্গিমায় তারা গ্রামীণ আর নগরায়নিক চেতনা, যাপিত মৌনতাকে প্রধান করে তুলেছিলেন। আদ্যনাথ ঘোষ সে পথই অনুসরণ করেছেন বারবার এই বইয়ের প্রতিটি কবিতায়। কবিতার ভেতরে তিনি তুলে এনেছেন মনস্তত্ত্ব আর প্রেমের যৌথ ইশারাভাষিক উন্মাদনা। তার কবিতায় উঠে এসেছে নিবিড় বোধের হইচই! এ মন্তব্যের অর্থ এই নয়, তিনি শিল্পকে মুখ্য করেননি। তিনি শিল্পবোধকে আশ্রয় করেই লিখতে শুরু করেছিলেন কিংবা করেননি কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার কবিতা কেবল গতানুগতিক শিল্পেই মত্ত থাকেনি, সেই সঙ্গে আরো কিছু বেদনা, আরো কিছু গোপন শূন্যতার টিউন নোটেশন তৈরি করেছেন অজান্তেই। এই মনস্তাত্ত্বিক টিউন নোটেশন বাংলা কবিতায় তৈরি করেছিলেন চর্যাপদের কবিগণ। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, হাজার বছরের বাংলা কবিতায় এই টিউন জড়িয়ে ছিল যুগে যুগে তার প্রমাণ চর্যাপদ, মঙ্গলকাব্যগুলো। পরবর্তী সময়ের যুগসন্ধির কবিতাবলিতে।

আল মাহমুদ, সৈয়দ শামসুল হক পরবর্তী বাংলাদেশের কবিতার যে বোধ-চিন্তা এবং প্রকৃত স্বাপ্নিক সারমেয়তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন, এই একই পথে আদ্যনাথ ঘোষ হেঁটেছেন। তার কবিতায় তাতে কেবল বাংলা কবিতায় মনস্তাত্ত্বি¡কতার পুনরুদ্ধার ঘটেছে কেবল তাই নয়, সেই সঙ্গে সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের কবিতার চিরচেনা অথচ নির্লিপ্ত একটি দিক উন্মোচনের। সেটি হচ্ছে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির ভেতর দিয়ে এক অযাচিত অথচ অনস্বীকার্য উপমার প্রকাশ ঘটানো, যে বিষয়টি চিরায়ত এক বোধের দিকে মানুষকে টেনে নিয়ে যায় প্রাঞ্জলভাবেই। এই চেতনার গভীরে গিয়ে বোধের নিভু নিভু আলোকে আরেকবার প্রজ¦লিত করার দুঃসাহস দেখানোর নজির বাংলা কবিতায় বিরল। এই জরুরি কাজটিই আদ্যনাথ ঘোষ দেখাতে চেষ্টা করেছেন তার এই কবিতাগ্রন্থে। প্রমাণ করেছেন চিরায়ত বাংলা কবিতার গতিপথ পুনরুদ্ধার হয়েছে কবিতাগ্রন্থের মাধ্যমে। এই বিরল অথচ অনিবার্য কাজটি তুলে ধরার জন্যই বিশেষ সম্মানিত ‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’ এর কবি আদ্যনাথ ঘোষ।

এ গ্রন্থের কবিতাগুলোয় মনস্তাত্ত্বি¡কতার বয়ানের পাশাপাশি রয়েছে আত্মবোধের বয়ান। আবহমানকালের সুবিনির্মিত কবিতার বেশকিছু উপস্থাপনা রয়েছে এ কবিতা বইয়ে, যেগুলো একজন অনুসন্ধিচ্ছুক কাব্যবোদ্ধাকে সহজেই টেনে নেবে বোধের পরমাশ্রয়ে। বাংলা কবিতার কেবল পরম্পরা বিচারেই নয়, অনাগত প্রজন্মের চেতনাকে লৌকিক বাংলা কবিতার সঙ্গে সহজেই পরিচয় করাতে সক্ষম হবে ‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’। চিরায়ত বাঙালিয়ানায় ঋদ্ধ এক সুবর্ণ কথাপ্রদীপ, আধুনিক বাংলা কবিতার উঠোনে এক উজ্জ্বল সংযোজন এই কবিতা বই। ‘সুতরাং দীর্ঘশ্বাস’ আগামী দিনের বাংলা কবিতার এক অনন্যসুন্দর পুষ্পকরথ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ভোলায় আরো সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

ভোলায় আরো সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

‘এটাই বাংলাদেশের সেরা টেস্ট দল’

‘এটাই বাংলাদেশের সেরা টেস্ট দল’

টিভিতে আজ যা দেখবেন

টিভিতে আজ যা দেখবেন

ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিদ্যুত খাতের মাফিয়া আজিজ খান

ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিদ্যুত খাতের মাফিয়া আজিজ খান

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App