×

পাঠকের কলাম

উপাধি ডিগ্রি হোক স্নাতক সমমান

Icon

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উপাধি ডিগ্রি হোক স্নাতক সমমান
কওমি মাদ্রাসার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শাখা-০৩-এর গত ১৫ এপ্রিলে স্মারক নং-৫৭.০০.০০০০.০৫৩.৯৯.০০১.২২.১৩১ মর্মে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে যারা ২ বছর বা অধিক সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বা কর্মের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা দেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় মতামত ও সুপারিশ প্রণয়নপূর্বক সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ বরাবরে দাখিল করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশল কোর্সটি ডিগ্রি সমমান পাওয়ার অন্যতম কারণ, কোর্সটি ৪ বছর মেয়াদি ৮ পর্বের মধ্যে ৮ম পর্বে বাস্তব প্রশিক্ষণ বিষয় ও ৭ পর্বে ৭টি করে ৪৯টিসহ মোট ৫০টি বিষয় পাঠদান করানো হয়, যার ক্রেডিট সংখ্যা কমবেশি ১৬৫। একজন শিক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৩ বিষয় ও স্নাতক স্তরে ২১টি বিষয় পড়ানো হয় এবং স্নাতক স্তরে ক্রেডিট সংখ্যা মাত্র ৮৪। তাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কর্মের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক সমমান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৫ সালের ব্যানবেইজের তথ্য মোতাবেক এই বোর্ডের অধীনে ১২৬টি সংস্কৃত ও ৯৩টি পালি কলেজ রয়েছে। ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সটির আদ্য ও মধ্য উভয় পরীক্ষায় দুটি পত্রে ২০০ নম্বর এবং উপাধি পরীক্ষায় ৪টি পত্রে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয় অর্থাৎ ৮টি পত্রে মাত্র ৮০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বিশেষায়িত এই শিক্ষার আধুনিকায়ন জরুরি। অথচ এই শিক্ষাকে মূলধারায় নিতে একমত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ১৯৯৬ সালে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা আধুনিকায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশও করেছিল ইউজিসি, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সংস্কৃতিতে তীর্থ ও পালিতে বিশারদ পাসকৃতদের স্নাতক বা সমমান মর্যাদা পাওয়ার ব্যাপারে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষাক্রমের পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে স্নাতক বা সমমান মর্যাদা পাওয়া সম্ভব নয়। প্রথম কারণ কোর্সটিতে ভর্তির যোগ্যতা মাধ্যমিক বা সমমান, বিষয় সংখ্যা ৮টি ও নম্বর ৮০০ এবং ক্রেডিটভিত্তিক নয়। স্নাতকের (পাস) সমমান পাওয়ার জন্য প্রথমেই ভর্তির যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান করতে হবে। বিশেষায়িত বিষয় সংখ্যা হবে কমপক্ষে ২১টি যার প্রতিটি ৪ ক্রেডিট করে ২১০০ নম্বর। সঙ্গে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে থাকবে বাংলা, ইংরেজি ও সিভিক এডুকেশন- প্রতিটি ৪ ক্রেডিট করে ৩০০ নম্বর। ২টি কোর বিষয়ের ৬টি করে পত্র ঐচ্ছিক হিসেবে নির্বাচন করা যাবে, যেখানে ১২টি পত্রে ৪ ক্রেডিট করে ১২০০ নম্বর। এ ক্ষেত্রে ৩৬টি বিষয়ে ৪ ক্রেডিট করে ১৪৪ ক্রেডিটে ৩৬০০ নম্বর ও ৬টি পর্বের প্রতি পর্বে ৬টি করে বিষয় থাকবে। কোর বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ২টি মানবিক ও বিজ্ঞান নামে শাখা থাকবে। মানবিক শাখায় সংস্কৃত, পালি, বাংলা, ড্রামা ও মিডিয়া স্টাডিজ এবং লাইব্রেরি সায়েন্স ও ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয় থাকবে ও বিজ্ঞান শাখায় পরিসংখ্যান, কম্পিউটার সায়েন্স, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, ভূগোল ও অর্থনীতি বিষয় থাকবে। উপাধি ডিগ্রিকে তীর্থের পরিবর্তে শাস্ত্রী রেখে স্নাতক সমমান করা যেতে পারে। স্নাতক সমমানের পূর্ব পর্যন্ত কারিকুলাম সংশোধন করে ৮টি বিষয়ের পরিবর্তে বিশেষায়িক ২১টি বিষয় নির্ধারণ করা ও পূর্বের পাসকৃতদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর উপাধি ডিগ্রি অর্জনকারীদের ১ বছরের সক্ষমতা কোর্স করিয়ে স্নাতক সমমান প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রিপন কুমার দাস : ট্রেড ইনস্ট্র্রাক্টর, ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App