সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সিপিবির
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের রোডম্যাপ চায় বাম জোট
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাসকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলেছেন, একের পর এক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না- যা আন্তর্জাতিক নীতিবিরোধী।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সীমান্তে সরাসরি গুলি করে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অতীতে ঘটলেও অতীতের সরকারগুলো তাদের রাজনৈতিক সমীকরণের কারণে এর সমাধানে যথাযথ ভূমিকা নেয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবেন এবং এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন বলে নেতারা আশা প্রকাশ করেন। গতকাল বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের অপর এক সভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি না হওয়া, বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, দখলদারত্বের হাত বদল হওয়া, নিত্যপণ্যের দাম না কমা, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া ও ‘মব জাস্টিসের’ নামে ভীতি ছড়ানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দলীয় নিয়োগের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে চাঁদাবাজি-দখলদারত্বের অবসান এবং উপযুক্ত নীতিমালার ভিত্তিতে দলনিরপেক্ষ যোগ্য, দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ছেলে আমান আযমীর সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, জাতীয় সঙ্গিত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাকামী জনতার আত্মত্যাগকে তিনি অস্বীকার করেছেন- যা চরম ঔদ্ধত্য ও দৃষ্টতার শামিল।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করা যাবে না। একাত্তরের আত্মদানকে অস্বীকার করা, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনীর গণহত্যায় সমর্থন ও সহযোগিতাকারীদের ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার জন্যই যে তার এই বক্তব্য তা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। জনগণ এই বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাম জোট তার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে। সভায় দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়।