বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার অনুরোধ
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে শহীদের মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি প্রত্যেকের পরিবারকে এককালীন এক কোটি টাকা দেয়াসহ পাঁচটি অনুরোধ করেছেন আহতরা। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পক্ষে এমন অনুরোধ জানান সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সালমান হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে এখনো অন্তত ১০০ জন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসা ও কারো দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি দেয়া দরকার। এ সময় সরকারের প্রতি পাঁচটি অনুরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতরা।
সেগুলো হলো- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাণহানির সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে তাদের শহীদের মর্যাদা দিতে হবে এবং নিহত সবার পরিবারকে এককালীন ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকা দিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে আহত সবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান দিতে হবে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক রোগী আছেন, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আন্দোলনে আহতদের এককালীন ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যাবতীয় খরচ সরকারকে বহন করতে হবে এবং আহত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করতে হবে।
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি তা সহিংস রূপ পেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কারফিউ জারি করে। আগস্টের শুরুতে ছাত্রদের সেই আন্দোলন পরিণত হয় সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।