জাহিদ হোসেন
ইসি ও দুদক পুনর্গঠনের দাবি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা সরকারের ‘মদতপুষ্ট’ নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন অতীব জরুরি নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন করা। কারণ এই দুটি প্রতিষ্ঠানে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই সমস্ত সুবিধাভোগীদের ঝেটিয়ে বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ও ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম আজাদ, সদস্য মীর সরাফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। তারা তাদের সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আজ অবধি নির্লজ্জের মতো বসে আছে। আমি মনে করি, এই নির্বাচন কমিশনের বোধদয় হওয়া উচিত। জনগণের রোষ থেকে বাঁচার জন্য পদত্যাগ করে এই সরকারকে সুযোগ দেয়া উচিত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের। অন্যথায় ‘সত্যিকার অর্থে জনরোষ থেকে কেউ রক্ষা পাবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির এই নেতা। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুদকের যেইসব কমিশনার ও কর্মকর্তা এখনো বসে আছেন বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, অতীব জরুরি দুদক পুনর্গঠন করা। কারণ দুদকে পতিতদের আত্মীয়স্বজন, সুবিধাভোগী লোকজনকে বসিয়ে রেখে তৎকালীন বিরোধী দলসহ দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। আজকে ১৮ লাখ কোটি টাকা বলেন আর ১৫ লাখ কোটি টাকা বলেন পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে হলে, ব্যাংক লুটের অর্থ ফিরিয়ে আনতে হলে, সেই সংবাদকর্মী হোক, চিকিৎসক হোক, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বের করতে হলে, আইসিটির দুর্নীতি বের করতে হলেও অথবা গেটওয়ের দুর্নীতি বের করতে হলেও শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন দরকার।