ইসির নিবন্ধন পেল নাগরিক ঐক্য ও গণ অধিকার পরিষদ
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দল দুটিকে নিবন্ধন দেয়া হয়। নাগরিক ঐক্যের প্রতীক কেটলি এবং গণ অধিকার পরিষদের প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে ট্রাক। এ নিয়ে ইসিতে মোট নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হলো ৫২।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্য রিপ্রেজেনটেশন অব দ্য পিপলস অর্ডার-১৯৭২ এর চ্যাপ্টার ৬ এর বিধান অনুযায়ী প্রধান কার্যালয় ২২/১, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ এ অবস্থিত নাগরিক ঐক্যকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। এ দলের জন্য কেটলি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। নিবন্ধন নম্বর ৫২।
এছাড়া গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল ‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ’ দ্য রিপ্রেজেনটেশন অব দ্য পিপলস অর্ডার-১৯৭২ এর চ্যাপ্টার ৬ এর বিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে। দলটির জন্য ‘ট্রাক’ প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং নিবন্ধন নম্বর ৫১।
এদিকে নিবন্ধন পাওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা হট্টগোল বাধান। এমনকি ইসি সচিবের দপ্তরের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন নির্বাচন ভবনে দায়িত্বরত ২৯ ব্রিগেডের সেনা সদস্যরা।
গতকাল সোমবার দুপুরে নুরের দল নিবন্ধন পাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পরেই গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে বেশকিছু নেতাকর্মী নির্বাচন ভবনে আসেন। এরপর তারা ইসি সচিবের দপ্তরেও প্রবেশ করেন। সেখানে অযৌক্তিকভাবে আজকের মধ্যেই নিবন্ধন দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, যে ঘটনাকে ‘সীমা অতিক্রম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে ইসি সচিব শফিউল আজিম।
তিনি বলেন, ঠিক অবরুদ্ধ নয়, অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। একজনের আচরণ লিমিট ক্রস করেছে। বিষয়টি আমরা সরকারকেও জানিয়েছি। এভাবে তো হয় না।
আমরা বলেছি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে, কিন্তু সেটা তারা মানতে নারাজ।