রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান রফিকুল, মহাসচিব কবির
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম। গত ২৭ আগস্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সালের ২৬নং আদেশ-এর ১০ (১) আর্টিকেল এ বর্ণিত ক্ষমতাবলে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সংগঠনটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। গতকাল বুধবার সকালে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে যোগদান করেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১১ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান তিনি। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (২০০৯-২০১০) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক (২০১০-২০১১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ১৯৯৩-৯৪ সালে মোজাম্বিকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে তিনি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল)। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে আবুল খায়ের গ্রুপের ঢাকা অফিসে কর্মরত ছিলেন এবং ২০১৮ সাল থেকে বিএমএসআরআই (বাংলাদেশ মেডিকেল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-এর অবৈতনিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নবনিযুক্ত মহাসচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলম : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনিযুক্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলম এনডিসি। গতকাল সকালে তিনি সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে যোগদান করেন। এ সময় সোসাইটির উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, পরিচালকসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত মহাসচিবকে অভিনন্দন জানানো হয়।
ড. কবির মো. আশরাফ আলম ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার ৩৩ বছরের সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সরকারি খাতের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্র অতিক্রম করেন। স্থানীয় প্রশাসন পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে আগ্রহের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র ছিল। তিনি এলজিআই ইউনিটগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন কাজের তত্ত্বাবধান, প্রতিনিধিত্বমূলক স্থানীয় সংস্থা হিসেবে এলজিআই ইত্যাদির কার্যকারিতা এবং বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় সরকার কার্যক্রমের সমন্বয় ও আন্তঃসংযোগ নিয়ে কাজ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি