চাকরি পুনর্বহাল চান ৫০ পুলিশ ক্যাডার
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল চান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাকরি হারানো পুলিশ ক্যাডারের ৫০ জন কর্মকর্তা। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে মাহফুজুল হক।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সচিবের কাছে দুটি দাবি জানিয়ে পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের এই সাবেক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রথম দাবিটি হলো- আমরা ৫০ জন কর্মকর্তা এখানে একত্রিত হয়েছি। যাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, প্রত্যেককে তাদের ন্যায্য সম্মান, ন্যায্য পদোন্নতি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি অর্ডার করে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় দাবিটি হলো- আমাদের মধ্যে যারা যেখানে উপযুক্ত, আমরা হারানো সম্মান যখন ফেরত পাব, সেই মর্যাদা ধরে যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের যে জায়গাগুলোতে পুলিশ কন্ট্রিবিউট করতে পারে, সেই জায়গাগুলোতে চুক্তিভিত্তিক পদায়ন করতে হবে।
মাহফুজুল হক বলেন, আমাদের এখানে যারা আছেন সবাই গত ১৬ বছরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যায়ভাবে বরখাস্ত, জেলে দেয়া, ওএসডি করা, চাকরিচ্যুত করা অফিসাররা আমরা একত্রিত হয়েছি। কারোরই এখন চাকরির বয়স নেই। তিনি বলেন, বিনা দোষে আমাদের পুলিশের দুজন কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর করে জেল খাটানো হয়েছে। তাদের কোনো অপরাধ ছিল না। তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা থাকতে পারে, এজন্য জেল হতে পারে না। ২০০৯ সালে আমাদের ২৪ জন কর্মকর্তাকে একসঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরো ২৬ জনকে বিভিন্নভাবে পদোন্নতি বঞ্চিত করে এদিকে সেদিকে ট্রেনিং সেন্টারে ফেলে রেখে কাজে না লাগিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
মাহফুজুল হক বলেন, দলকানা, পক্ষপাতদুষ্ট, দুর্নীতিগ্রস্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকারী কর্মকর্তাদের দিয়ে পুলিশ পরিচালনা করেছে স্বৈরাচার সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ নষ্ট হয়ে গেছে, এখন আর এর কোনো ওজন নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি যেসব পুলিশ কর্মকর্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার জন্য দায়ী, যারা পরিকল্পনাকারী, যারা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের চাকরিচ্যুত করা হোক। তাদের চাকরিচ্যুত করা হলে যে পদগুলো খালি হবে, আমাদের হারানো সম্মান প্রদানপূর্বক সেই পদে চুক্তিভিত্তিক পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পদায়ন করা হোক।
উল্লেখ্য পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টরের পদ থেকে ২০০৯ সালে ওএসডি করা হয় এ কে মাহফুজুল হককে