কাগজ প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই রিট আবেদনে যেসব প্রতিষ্ঠানে শেখ হাসিনার নাম রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে। রিটে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনা এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনি¤œ ৩ বছর চাওয়া হয়েছে ওই রিটে। গতকাল সোমবার মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি দায়ের করেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে আমি একটি রিট দায়ের করেছি। রিটে ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চাওয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছি। এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সব কর্মকর্তা, চলমান প্রশাসনের সব বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনওসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব বিভাগীয় কমিশনার, এসপি ও ওসিদের বদলি করে বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আবেদনে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।