সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর
ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদারদের ১০ দফা
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে অধিদপ্তরের ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার সমন্বয় কমিটি।? গতকাল রবিবার দুপুরে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপি দেয় এই সমন্বয় কমিটি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত চলমান কাজ বন্ধ রাখা এবং ৩ কর্মদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা না হলে চতুর্থ কার্যদিবস থেকে সড়ক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার সমন্বয় কমিটি।
দেশের ৪৭টি পেশাদার ঠিকাদার কোম্পানি এই সমন্বয় কমিটির সদস্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রিলায়েবল বিল্ডার্স লিমিটেড, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, মেসার্স সালেহ আহাম্মেদ, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, সাগর ইনফো বিল্ডার্স লিমিটেড, জে এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স এম. এ ইঞ্জিনিয়ারিং, হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড, এমডি খোরশেদুজ্জামান। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্নভাবে এই খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরকে আদর্শ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করা; দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপসারণ; আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের অনৈতিক সুবিধা দেয়ার জন্য অযৌক্তিকভাবে অভিজ্ঞ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে নেয়া বেআইনিভাবে অযোগ্য ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা; সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ বঙ্গবন্ধু ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষদ নেতা পকিউরমেন্ট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে (ম্যাক আজাদ) অপসারণ; গত এক বছর ধরে শুদ্ধি অভিযানের নামে যে অশুদ্ধি অভিযান চলেছে তা বাতিল করা; কোনো দলীয় ক্ষমতা বা দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ নিয়ে কোনো রকম বৈষম্য না করে যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ দিতে হবে; জিওবি ফান্ড টেন্ডার এ প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট পদ্ধতি চালু করা; গত এক বছরে প্রায় ৪৭ জন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারকে বেআইনিভাবে অযোগ্য ঘোষণা করে বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠদের কাজ দেয়ার জন্য পিপিআর-২০০৮ এর শর্ত শিথিল করে যে কাজ দেয়া হয়েছে তা বাতিল করা।
কারণ সেই কাজগুলোতে কোনো প্রতিযোগিতা না থাকায় সরকারের অনেক বেশি অর্থ লোপাট হয়েছে এছাড়া ‘সিমিলার নেচার/স্পেসিফিক অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট’ একটির জায়গায় তিনটি ছোট সার্টিফিকেট দিয়ে শর্ত পূরণ করা, যা দরপত্রের পিপিআর-২০০৮ এর শর্তের বাইরে এবং বর্তমানে আহ্বান করা চলমান দরপত্র জরুরি ভিত্তিতে স্থগিত করতে হবে, কেননা পিপিআর-২০০৮ শর্ত ভঙ্গ করে কোনো দলপত্র আহ্বান করা যাবে না এবং ওটিএম টেন্ডারের ক্ষেত্রে পয়েন্ট পদ্ধতি বাতিল করা।