সারজিসের আহ্বান
আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে একাত্মতা পোষণ করুন
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : দেশবাসী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চাইলে একাত্মতা পোষণের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, গণহত্যার দায়ে দেশের মানুষ যদি আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে চায়, তবে সে দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় জমায়েত কর্মসূচি পালনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। সারজিস আলম বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ স্বৈরাচারের যারা দোসর ছিল, সেসব দুষ্কৃতকারীরা নতুন একটি গণঅভ্যুত্থান করে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে। এটি কখনো হতে দেয়া হবে না। ছাত্র-সমাজ মাঠে আছে, থাকবে। এ সময় পাল্টা গণঅভ্যুত্থান করলে তাদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ঘোষিত ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছি। এসব দাবি বাস্তবায়নে কালবিলম্ব করলে গদি থেকে নামানোর মতো কৌশল শিক্ষার্থীদের জানা আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস আলম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মোদিকে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের কথা বলে সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ। এতেই বোঝা যায়, ছাত্র-জনতা পাশে নেই বলে তারা মোদির দ্বারস্থ হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার দফা দাবি হলো, ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা ও হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের সবার জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।