এবার পদত্যাগের আল্টিমেটাম নির্বাচন কমিশনারদের
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার পর সরকারি সব দপ্তরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ উপমন্ত্রীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও বদলি করা হচ্ছে। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসি ভবনে দেখা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এজন্য ভবনের বাইরের দেয়ালের সামনে ছাত্র-জনতার ব্যানার সাঁটানো হয়। ব্যানারে লেখা হয় ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা হত্যা এবং গণহত্যার দায়ে সব নির্বাচন কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে’।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবির মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গত মঙ্গল ও বুধবার অফিসে না এলেও গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য অফিসে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারের তিন কমিশনার গতকাল অফিস করেননি। সিইসি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে আসেন। আর চলে যান ৩টার দিকে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান পুরো সময় অফিস করেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান অফিস করেননি।
গত বুধবার নিরাপত্তাহীনতায় সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান অফিসে আসেননি। তবে ওইদিন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা অফিস করেন। এসেছিলেন ইসি সচিব শফিউল আজিম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থাপনা, থানায় হামলার আতঙ্ক এখনো মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে। পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি। সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে ছাত্রদের। আনসার ও বিজিবি পাহারায় আছে নির্বাচন ভবন, তার মধ্যে ইসির দেয়ালে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা। যাতে ইসির অনেকেই বিব্রত, ভীত সন্ত্রস্ত। এদিকে পুলিশ কাজে যোগ না দেয়ায় বাসা থেকে নির্বাচন ভবনে যাওয়ার জন্য সিইসিসহ অন্য কমিশনার ও কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।